শহীদ জিয়ার মাজারে বিপ্লবী পরিষদের ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৩
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৭

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা সিপাহি-জনতার বিপ্লবের চেতনায় দেশবাসীকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ইসলামী পুনর্জাগরণ ও গণমানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

শুক্রবার বাদ আসর রাজধানীর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়া উদ্যানে শহীদ জিয়ার মাজারে উপস্থিত হয়ে তারা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, সদস্য ওয়াসিম আহমদ, বিপ্লব মিয়া ও আরমান অন্তু; বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, ঢাকা আলীয়া মাদরাসা শাখার আহ্বায়ক রাকিব মন্ডল ও সদস্য সচিব জিনাত হোসাইন সহ বিপুলসংখ্যক সাধারণ জনতা।

কবর জিয়ারতের পর অনুষ্ঠিত হয় ফাতেহা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল। এ সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ এই ভূমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী পুনর্জাগরণের সংগ্রামে আত্মত্যাগী সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন রাকিব মন্ডল।

দোয়া মাহফিল শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন ঈমান, দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তাঁর দেখানো আদর্শই আমাদের মুক্তি ও পুনর্জাগরণের পথ। আজকের দিনে আমরা তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও দেশমুক্তির সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করছি।

সাইয়েদ কুতুব বলেন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত মুসলিম জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ পঁচাত্তরের সাত নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে। এ বিপ্লবের মহানায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদ মুক্ত করে ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে প্রকৃত মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে গড়েছিলেন। আমরা দলগতভাবে রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করি।

আবদুস সালাম বলেন, ভারতের হুকুমে ফ্যাসিস্টরা মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিয়েছিল। সাত নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহী-বিপ্লবের পর শহীদ জিয়া সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের মূলনীতি প্রবর্তন করে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু নতুন করে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে শেখ হাসিনা আবারও ধর্মনিরপেক্ষতা পুনর্বহাল করেছিল। আমরা চাই জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে পুরনো সংবিধান বাতিল করে শহীদ জিয়ার ইসলামী নীতির আলোকে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হোক।

ফজলুর রহমান বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের সব দলমতের মানুষেরই জাতীয় নেতা। কারণ পঁচাত্তরের সাত নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহী-বিপ্লবে তিনি সব দলমতের মানুষকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা আজ তার মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে এ মুসলিম রাষ্ট্রনায়ককে ধারণ করতে জাতিকে বার্তা দিয়েছি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত