ফ্যাসিস্ট আ.লীগের আমলে দেশে বিরোধী দল বা মতের মানুষের মানবাধিকার ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ইসলামী ছাত্রশিবির একক সংগঠন হিসেবে ৩১ শতাংশ গুমের শিকার হয়েছিল। এখনো ৭ জন নেতাকর্মী গুম অবস্থায় রয়েছেন। গত ১৫ বছরে ন্যূনতম মানবাধিকার ছাত্রশিবিরের ছিল না।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের মানবাধিকার লঙ্ঘন’শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত উল আলমের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সেক্রেটারি ইমদাদুল হকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান এবং গবেষক আলী আহমেদ মাবরুর।
তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে আওয়ামী শাসনামলে সংগঠিত গুম, হত্যা, বেআইনি আটক, নির্যাতনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিভুক্ত চিত্র উপস্থাপন করা হয়। বক্তারা এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত, ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করে একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার আহ্বান জানান বক্তারা।
শিবির সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে থাকে। রক্ষীবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছিল। দুর্নীতি, দুঃশাসনের পর দেশকে দুর্ভিক্ষের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তার বিপরীতে গুম করেছে। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। শুধু একটি ছাত্রসংগঠনের ওপর কী নির্যাতন চালানো হয়েছিল, তা ছাত্রশিবিরের দিকে তাকালে বোঝা যায়। বিগত সময়ে সরকারি দল ছাড়া বিরোধী দল ও মতের প্রায় সবারই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’


বাংলাদেশে আর খুন-গুমের রাজনীতি চলবে না: শিবির সভাপতি