আল-কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সরাসরি সম্বোধন করে বিভিন্ন বাণী দিয়েছেন। এর কয়েকটি নিম্নরূপ—
১. ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত কর, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের এবং তোমাদের আগে যারা ছিল তাদের, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।’ (সুরা বাক্বারা : ২১)
২. ‘হে মানুষ, জমিনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ (প্রাগুক্ত : ১৬৮)
৩. ‘হে মানুষ, তোমার রব পর্যন্ত (পৌঁছাতে) অবশ্যই তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাৎ পাবে।’ (সুরা ইনশিকাক : ৬)
৪. ‘হে মানুষ, অবশ্যই তোমাদের কাছে রাসুল এসেছেন তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য নিয়ে। সুতরাং তোমরা ঈমান আনো, তা তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যদি কুফরি কর, তবে নিশ্চয় আসমান ও জমিনে যা রয়েছে, তা আল্লাহর জন্যই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা নিসা : ১৭০)
৫. ‘হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে প্রমাণ এসেছে এবং আমি তোমাদের কাছে স্পষ্ট আলো নাজিল করেছি।’ (প্রাগুক্ত : ১৭৪)
৬. ‘হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।’ (সুরা ইউনুস : ৫৭)
৭. ‘হে মানুষ, একটি উপমা পেশ করা হলো, মনোযোগ দিয়ে তা শোনো। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাকো তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা এ উদ্দেশ্যে একত্র হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়, তারা তার কাছ থেকে তাও উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও যার কাছে অন্বেষণ করা হয়, উভয়েই দুর্বল।’ (সুরা হজ : ৭৩)
৮. ‘হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য; অতএব দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদের কিছুতেই প্রতারিত না করে; আর বড় প্রতারক (শয়তান) যেন তোমাদের আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারণা না করে।’ (সুরা ফাত্বির : ৫)
৯. ‘হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী আর আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসিত।’ (সুরা ফাত্বির : ১৫)
১০. ‘হে মানুষ, আমি তো কেবল তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।’ সুতরাং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজ্ক। আর যারা আমার আয়াতগুলোকে ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী।’ (সুরা হজ : ৪৯-৫১)
লেখক : চিকিৎসক, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ঢাকা

