হজের স্লোগান তালবিয়া

আবু আফিফা
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫, ১০: ৩৩

তালবিয়া পাঠ হজ-উমরার শ্লোগান। কেননা তালবিয়া পাঠের মধ্য দিয়ে হজ ও উমরায় প্রবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।

উচ্চারণ : লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারীকা লাক।

বিজ্ঞাপন

অর্থ : ‘আমি হাযির, হে আল্লাহ, আমি হাযির। তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাযির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বও, তোমার কোন শরীক নেই।’ [বুখারি : ৫৪৬০]

তালবিয়ার পাঠের ফজিলত

১. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তালবিয়াতে স্বর উঁচু করার জন্য জিবরীল আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এটি হজের বিশেষ শ্লোগান।’ [ইবন খুযাইমাহ : ২৬৩০]

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিবরীল আমার নিকট আসলেন অতপর বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন আপনি আপনার সাথীদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, তারা যেন তালবিয়া দ্বারা স্বর উঁচু করে। কারণ এটি হজের শ্লোগানভুক্ত।’ [তাবরানী : ৫১৭২]

২. তালবিয়া পাঠ হজ-উমরার শোভা বৃদ্ধি করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অমুকের ওপর আল্লাহর অভিশাপ! তারা হজের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ দিনের ইচ্ছা করে তার শোভা মিটিয়ে দিল। আর নিশ্চয় হজের শোভা হল তালবিয়া।’ [মুসনাদ আহমদ : ১/২১৭]

৩. যে হজে উচ্চস্বরে তালবিয়া করা হয় সেটি সর্বোত্তম হজ। রাসূলুল্লাহ (সা.)কে জিজ্ঞেস করা হল, কোন হজটি সবচে’ উত্তম? অন্য বর্ণনায় এসেছে, জিজ্ঞেস করা হল, ‘হজের মধ্যে কোন আমলটি সবচে’ উত্তম ? তিনি বললেন, উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং পশুর রক্ত প্রবাহিত করা।’[তিরমিজি : ২৯২৪]

৪. তালবিয়া পাঠকারির সাথে পৃথিবীর জড় বস্তুগুলোও তালবিয়া পড়তে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, বলেন, ‘প্রত্যেক মু‘মিন ব্যক্তি যে তালবিয়া পড়ে তার সাথে তার ডান-বামের গাছ-পাথর থেকে নিয়ে সবকিছুই তালবিয়া পড়তে থাকে। যতক্ষণ না ভূপৃষ্ঠ এদিক থেকে ওদিক থেকে অর্থাৎ ডান থেকে এবং বাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’ [তিরমিজি : ১৬৫৬]

বিষয়:

হজ-উমরা
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত