
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন অন্তর

আজকের পৃথিবী যেন এক ক্লিকের দূরত্বে। তথ্য, বিনোদন, সংবাদ—সবকিছু মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে হাতে থাকা একটি মোবাইল স্ক্রিনে। কিন্তু এই প্রযুক্তির আশীর্বাদই অনেক সময় ঈমানের জন্য ভয়ংকর পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ঝলমলে দুনিয়ায় মানুষ দিন দিন হারাচ্ছে লজ্জাশীলতা, সময়ের মূল্যবোধ ও আল্লাহভীতির অনুভূতি। তাই এই যুগে একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঈমানকে অটুট রাখা।
ইসলাম মানুষকে সবসময় সংযম, সততা ও পবিত্রতার শিক্ষা দেয়। কিন্তু ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে অশালীনতা, গীবত, অপপ্রচার, রিয়া (দেখানোর মানসিকতা) ও সময়ের অপচয় যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। অথচ আল্লাহ তায়ালা সফল লোকদের বৈশিষ্ট্য বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘যে অনর্থক (কথা ও কাজ) থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।’ (সুরা আল-মুমিনূন : ৩)
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে নিজের সুখ-দুঃখ, নামাজ, দান বা ভালো কাজ পর্যন্ত প্রকাশ করে থাকে অন্যের প্রশংসা পাওয়ার আশায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক রিয়া করে, আল্লাহ তাকে রিয়ার জন্য শাস্তি দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম)। এ যুগে ঈমান রক্ষার প্রথম ধাপ হলো নিয়ন্ত্রণ। নিজের চোখ, কান ও সময়কে হালাল কাজে ব্যয় করা। অশালীন কনটেন্ট, বিতর্কিত আলোচনা বা অন্যের চরিত্রহানিকারী পোস্ট থেকে দূরে থাকা জরুরি। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে তাঁর নবীর উদ্দেশে বলেন, ‘মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে।’ (সুরা আন-নূর : ৩০)
সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারের সময় নিজের ঈমান বাঁচাতে আমাদের অনুসরণ করতে হবে সচেতনতা ও সৎসঙ্গ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পেজ, চ্যানেল ও গ্রুপ অনুসরণ করতে হবে, যা ঈমান, জ্ঞান ও ইতিবাচক চিন্তার বিকাশ ঘটায়। ইসলামি বক্তা, আলেমদের পেজ বা দাওয়াতি কনটেন্টে যুক্ত থাকা ঈমান দৃঢ় রাখার সহায়ক। আমাদের আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে—সময় ব্যবস্থাপনা ও নিজের আত্মসমালোচনা। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কত সময় ব্যয় হচ্ছে, এটি নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘সফল সে-ই, যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে।’ (সুরা আশ-শামস : ৯)
নামাজ, কোরআন পাঠ বা পরিবারের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটানোর জায়গায় যদি ফোনই মুখ্য হয়ে যায়, তাহলে সেটি ক্ষতির কারণ। মনে রাখতে হবে প্রযুক্তি নিজে পাপের কারণ নয়, বরং ব্যবহারের ধরনই একে হালাল বা হারাম করে তোলে। একজন মুমিনের লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রযুক্তিকে ঈমানের সেবায় কাজে লাগানো, তার বিপরীতে নয়। যে মুমিন সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড়েও নিজের চোখ, জিহ্বা ও হৃদয়কে সংযত রাখতে পারে, সে-ই প্রকৃত বিজয়ী।

আজকের পৃথিবী যেন এক ক্লিকের দূরত্বে। তথ্য, বিনোদন, সংবাদ—সবকিছু মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে হাতে থাকা একটি মোবাইল স্ক্রিনে। কিন্তু এই প্রযুক্তির আশীর্বাদই অনেক সময় ঈমানের জন্য ভয়ংকর পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ঝলমলে দুনিয়ায় মানুষ দিন দিন হারাচ্ছে লজ্জাশীলতা, সময়ের মূল্যবোধ ও আল্লাহভীতির অনুভূতি। তাই এই যুগে একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঈমানকে অটুট রাখা।
ইসলাম মানুষকে সবসময় সংযম, সততা ও পবিত্রতার শিক্ষা দেয়। কিন্তু ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে অশালীনতা, গীবত, অপপ্রচার, রিয়া (দেখানোর মানসিকতা) ও সময়ের অপচয় যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। অথচ আল্লাহ তায়ালা সফল লোকদের বৈশিষ্ট্য বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘যে অনর্থক (কথা ও কাজ) থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।’ (সুরা আল-মুমিনূন : ৩)
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে নিজের সুখ-দুঃখ, নামাজ, দান বা ভালো কাজ পর্যন্ত প্রকাশ করে থাকে অন্যের প্রশংসা পাওয়ার আশায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক রিয়া করে, আল্লাহ তাকে রিয়ার জন্য শাস্তি দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম)। এ যুগে ঈমান রক্ষার প্রথম ধাপ হলো নিয়ন্ত্রণ। নিজের চোখ, কান ও সময়কে হালাল কাজে ব্যয় করা। অশালীন কনটেন্ট, বিতর্কিত আলোচনা বা অন্যের চরিত্রহানিকারী পোস্ট থেকে দূরে থাকা জরুরি। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে তাঁর নবীর উদ্দেশে বলেন, ‘মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে।’ (সুরা আন-নূর : ৩০)
সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারের সময় নিজের ঈমান বাঁচাতে আমাদের অনুসরণ করতে হবে সচেতনতা ও সৎসঙ্গ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পেজ, চ্যানেল ও গ্রুপ অনুসরণ করতে হবে, যা ঈমান, জ্ঞান ও ইতিবাচক চিন্তার বিকাশ ঘটায়। ইসলামি বক্তা, আলেমদের পেজ বা দাওয়াতি কনটেন্টে যুক্ত থাকা ঈমান দৃঢ় রাখার সহায়ক। আমাদের আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে—সময় ব্যবস্থাপনা ও নিজের আত্মসমালোচনা। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কত সময় ব্যয় হচ্ছে, এটি নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘সফল সে-ই, যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে।’ (সুরা আশ-শামস : ৯)
নামাজ, কোরআন পাঠ বা পরিবারের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটানোর জায়গায় যদি ফোনই মুখ্য হয়ে যায়, তাহলে সেটি ক্ষতির কারণ। মনে রাখতে হবে প্রযুক্তি নিজে পাপের কারণ নয়, বরং ব্যবহারের ধরনই একে হালাল বা হারাম করে তোলে। একজন মুমিনের লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রযুক্তিকে ঈমানের সেবায় কাজে লাগানো, তার বিপরীতে নয়। যে মুমিন সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড়েও নিজের চোখ, জিহ্বা ও হৃদয়কে সংযত রাখতে পারে, সে-ই প্রকৃত বিজয়ী।

ইসলাম নারীকে শুধু গৃহিণী বা সংসারের দায়িত্বশীল হিসেবে নয়, বরং সম্মানিত মা হিসেবে মর্যাদাশীল বানিয়েছে। একজন নারী যখন সংসারের কাজে পরিশ্রম করেন, স্বামী ও সন্তানের জন্য ভালোবাসা ও ত্যাগের মাধ্যমে ঘরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে ফেলেন, তখন সেই কাজগুলোও ইবাদতে পরিণত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পাবনা জেলায় প্রাচীন ও পুরাকীর্তির নিদর্শন হিসেবে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুঘল সম্রাট আকবরের স্মৃতিবিজড়িত মাসুম খাঁর তিন গম্বুজবিশিষ্ট শাহি মসজিদ। একসময় প্রমত্তা বড়াল নদীর দক্ষিণ পাশে চাটমোহর থানা ছিল। এটি প্রাচীন বাণিজ্য কেন্দ্র ও পাঠান ভূমি হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে ‘ওয়াজ মাহফিল’ এক জনপ্রিয় ধর্মীয় আয়োজন। ইসলামি শিক্ষার প্রচার, মানুষকে নৈতিকতার পথে আহ্বান ও সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে এই মাহফিলের অবদান অনস্বীকার্য। দেখা যাচ্ছে, ওয়াজ মাহফিল অনেক ক্ষেত্রে তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে উল্টো বিভ্রান্তি, বিদ্বেষ ও বিভেদ তৈরি করে।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় পদ গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শায়খ সালেহ আল-ফাওজান। বুধবার সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ এ আদেশ জারি করেন। শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শেখের মৃত্যুর পর তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
১ দিন আগে