চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

টপ অর্ডারেই ডিস অর্ডার!

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ০০
সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত

দুবাইয়ের ধীরলয়ে এগোনোর উইকেটে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়েই বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডার। প্রথম ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ছিল ৫ উইকেটে মোটে ৩৯ রান। শুরুটা হলো বিভীষিকাময়।

ওই বিভীষিকার গোড়াপত্তন সৌম্য সরকারের হাত ধরে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরার সুযোগ তৈরি করেন তিনি। রানের খাতা খোলার আগেই আউট সৌম্য। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১। মাত্র এক বলের ব্যবধানে এবার প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত, শূন্য রানে।

বিজ্ঞাপন

তানজিদ তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ। তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ২৪ রান। তবে তখনো কমেনি দুজনের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ভঙিমা। দুজনই খানিকটা আক্রমণ করে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। ওই ভুলের ফয়দাটাই নেয় ভারত। মিরাজের ইনিংস শেষ ১০ বলে ৫ করে।

২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগিয়ে তোলে। সেই শঙ্কা আরো বাড়ে ইনিংসের ৯ম ওভারে। অক্ষর প্যাটেলের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তানজিদ তামিম। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলা ২৫ বলে করেন ২৫ রান। পরের বলে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে একই ধাঁচে আউট মুশফিকুর রহিম। একই ওভারে তাদের দুজনের ফেরার পর বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৫ রান।

অথচ এত অল্প রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত থামে ২২৮ রানে। এই সংগ্রহে দারুণ অবদান রাখেন জাকের আলী অনিক ও তাওহিদ হৃদয়। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট থেকে বেরিয়ে ধীরলয়ে ইনিংস গড়ে দলের সংগ্রহ বাড়ান। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ব্রডকাস্টার চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘উইকেট ধীর ছিল। এখানে নতুন বলে দেখে-শুনে খেলতে হবে। না হলে দ্রুতই অলআউট হতে হবে।’ ঠিক ওই ভুলটাই ইনিংসের শুরুতে করেছে বাংলাদেশ। তার খেসারত টপ অর্ডারে রান শূন্যতা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত