আইপিএল নিলামে মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘিরে আগ্রহটা একরকম প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এবার সেটা মাত্রা ছাড়িয়েছে। আবু ধাবির নিলামে রীতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে তাকে দলে নেওয়ার জন্য। আইপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশি হিসেবে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রূপিতে (প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা) বাঁহাতি পেসারকে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। মোস্তাফিজের আগে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজা (৬ লাখ ডলার বা ৫ কোটি ৪৫ লাখ রূপি)। আসরে সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৫ কোটি রূপিতে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা।
আবু ধাবিতে নিলামে রীতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে যায় মোস্তাফিজকে নিয়ে। আর সেটা হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাঝে। ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসারের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামে প্রথমে চেন্নাই সুপার কিংস তার জন্য দর হাঁকানো শুরু করে। পরে দুবাই ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সও প্রতিযোগিতায় যোগ দিলে দর বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসে কলকাতা। গত মৌসুমে জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের বদলি হিসেবে দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলেছেন ফিজ।
এ নিয়ে আইপিএল ষষ্ঠ দলে খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন তিনি। আইপিএলে ২০১৬ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ খেলে ২৮.৪৪ গড় ও ৮.১৩ ইকোনমি রেটে ৬৫ উইকেট নিয়েছেন ফিজ।
মোস্তাফিজের রেকর্ডের দিনে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিন। তাকে ২৫ কোটি রূপিতে নিয়েছে কলকাতা। তবে সবটা অর্থ তিনি পাবেন না। গ্রিন সর্বোচ্চ ১৮ কোটি রুপি পাবেন। কারণ, আইপিএল কর্তৃপক্ষের নতুন নিয়মে বিদেশি খেলোয়াড়দের দাম যতই উঠুক না কেন, তাদের পারিশ্রমিকের সীমারেখা ১৮ কোটি। অর্থাৎ অতিরিক্ত দামটুকু জমা পড়বে বিসিসিআইয়ের খেলোয়াড় কল্যাণ তহবিলে।

