ফ্লপ সাইনিং থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এনজো

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৫, ০২: ০০
এনজো ফার্নান্দেজ

সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না চেলসির। মাঠের লড়াইয়ে সাফল্যের দেখা পেতে টাকার বস্তা দিয়ে ট্রান্সফার মার্কেটে নামে দ্য ব্লুজ শিবির। ১২১ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে এনজো ফার্নান্দেজকে দলে ভেড়ায় স্টামফোর্ড ব্রিজ শিবির। প্রায় ১৭১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকায় আর্জেন্টাইন এ তারকাকে চুক্তিবদ্ধ করে দলবদলে নতুন ব্রিটিশ রেকর্ড করেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। ঘটনা ২০২৩ সালের জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোর। বাজে সময়ে চেলসিতে নাম লেখানোয় এনজোকে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

পর্তুগাল থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন এনজো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের সঙ্গে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। কড়া অনুশীলন আর গতিময় ফুটবলে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল তারকা এ মিডফিল্ডারের। এ কারণে চেলসিতে শারীরিক-মানসিক লড়াইটা বাড়িয়ে দিতে হয়েছিল তাকে। পারফরম্যান্সটা ভালো হচ্ছিল না এ তারকার। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে এনজোকে দলে টানলেও দ্যুতি ছড়াতে পারছিলেন না। এ কারণে ফ্লপ সাইনিং হিসেবেই দেখছিলেন কাতার বিশ্বকাপজয়ী এনজোকে।

সময়ের পরিক্রমায় ইংলিশ ফুটবলে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। বিদায়ী মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে নিজের সমালোচনার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন। চেলসির ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। ক্লাব ফুটবলের বৈশ্বিক আসরে সর্বাধিক অ্যাসিস্ট এসেছে তার কাছ থেকেই। পুরস্কার হিসেবে জায়গা করে নেন বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও। ফ্লপ সাইনিং থেকে নিজেকে গড়ে তুলেছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে।

সাফল্যের দেখা পেয়ে চেলসি ভক্তদের আবেগঘন বার্তা পাঠিয়েছেন ২৪ বছরের এনজো। যেখানে তিনি স্টামফোর্ড ব্রিজে নিজের সংগ্রামী জীবনের স্মৃতিচারণ করতে ভোলেননি। এনজো লেখেন, ‘প্রথম দিকটা আমার জন্য কঠিন ছিল। তখন থেকেই পরিশ্রমটা শুরু করলাম। এরপর দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই ভালো লাগতে শুরু করল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি ফলাফল দেখতে পেলাম এবং মাঠেও নিজেকে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারলাম। এখন আমি মনে করি, এ মৌসুমে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব ভালো একটা কিছু অর্জন করেছি। গোল, অ্যাসিস্ট ও ক্লাবের হয়ে শিরোপা জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি, যার জন্য আমি এখানে এসেছিলাম।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত