আগে থেকেই অনুমিত ছিল- শারীরিক উচ্চতা, ফিটনেস আর ফুটবলীয় স্কিলে অনেক এগিয়ে থাকা আজারবাইজানের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। হয়েছেও তাই। অবশ্য ইউরোপীয় কোনো ফুটবল দলের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমে অভিজ্ঞতটা খারাপ হয়নি মারিয়া মান্ডাদের। সফরকারীদের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখেই লড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। র্যাংকিংয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে থাকা আজারবাইজানের বিপক্ষে আজ শেষ পর্যন্ত রক্ষণভাগ আগলে রাখতে না পারার ব্যর্থতায় ২-১ গোলে হারল বাংলাদেশ। এই জয়ে ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আজারবাইজান নারী দল। এর আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে তারা। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ও আজারবাইজান দলের ম্যাচটি বেশ জমে উঠেছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় আজারবাইজান। ৮৩ মিনিটে মান্যা এসরার গোলে জয় নিশ্চিত হয় তাদের। এর আগে ম্যাচের ২০ মিনিটেই প্রথম গোল হজম করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জাফরজাদা সেভিঞ্জের গোলে এগিয়ে যায় আজারবাইজান। সতীর্থের ক্রস থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করেন তুরস্কের লিগে খেলা সেভিঞ্জ। এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে বাংলাদেশ। ৩২ মিনিটে মনিকা চাকমা প্রচেষ্টা আজারবাইজানের গোলরক্ষক ব্যর্থ করে দেওয়ার পরই আসে আনন্দের উপলক্ষ।
মারিয়া মান্ডার অবিশ্বাস্য এক গোলে ১-১ সমতায় ফেরে। ৩৪ মিনিটে স্বপ্নার কর্নার উড়ে আসা বল ঠেকিয়ে দেন আজারবাইজানের গোলরক্ষক শরিফভা। ফিরতি বলে বক্সের মধ্যে থাকা মারিয়া মান্ডা বাঁ পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন। বিরতির পর ৫২ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। বামপ্রান্ত আক্রমণে যান ঋতুপর্না চাকমা। তার ক্রস থেকে গোলমুখে থাকা মনিকা চামকা হেড করলেও গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বলে চলে যায়। ৬৭ মিনিটে দুটি পরিবর্তন আনলেও হার এড়াতে পারেনি কোচ বাটলারের দল।

