ভারতের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ঢাকায় এসিসি সভা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৭: ০০

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নকভীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে সম্মতি দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় এই বৈঠকে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় দেশটি। তাদের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়ে এই সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত জানায় শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওমান।

ভারতের এই চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ঢাকায় এসিসি সভা আয়োজনে অনড় আছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি জানান, এসিসির ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাগতিক হিসেবে বিসিবি এই সভা আয়োজন করছে। এ ছাড়া এসিসির ১৬ কিংবা ১৭টি সদস্য দেশ আসবে বলেও জানান তিনি।


তবে হয়তো শেষ পর্যন্ত এসিসির ২৭ সদস্য দেশের মধ্যে ২০টির মতো দেশ এসিসি সভায় অংশ নিতে পারে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মিয়ানমার ও ওমান না আসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। আফগানিস্তান আসবে কি না সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।


আগামীকাল ঢাকায় এসিসির এই সভায় গুরুত্ব পাচ্ছে মূলত আসন্ন এশিয়া কাপের কারণে। এ সভাতেই এশিয়া কাপের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার কথা আছে। তবে ভারতের অনুপস্থিতিতে আদতে এই সভায় এশিয়া কাপ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না সেটা নিশ্চিত নয়। কারণ, এসিসির ২৭ সদস্য দেশের মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে সদস্য দেশ আছে পাঁচটি। সভায় কোরাম পূর্ণ করার জন্য অন্তত পক্ষে তিনটি দেশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। তাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ছাড়া এশিয়ার বাকি তিন সদস্য দেশের কেউ উপস্থিত না হলে এই সভার কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। তবে আফগানিস্তান শেষ মুহূর্তে আসলেও বৈঠকের কোরাম পূর্ণ হলেও এশিয়া কাপ নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ভারত না খেললে শেষ পর্যন্ত হয়তো এবারের এশিয়া কাপ আয়োজিত হবেই না। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপের এবারের আসর আয়োজিত হওয়ার কথা আছে। আয়োজক ভারত হলেও পাকিস্তান দল দেশটিতে ভ্রমণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভেন্যু বদল হয়েছে।
যদি কোনো কারণে শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপ না হয়, তাহলে ভারত বিকল্প ব্যবস্থা ভেবে রেখেছে বলে জানা গেছে। এশিয়া কাপের এই সময়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করে রেখেছে তারা। মূলত এসিসির সভা বাংলাদেশে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা নীতিগতভাবে এশিয়া কাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে থাকা সংকটের কারণেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত