তির-ধনুকে ঢাকায় ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াতে চান রাশা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ০০

৩০টির বেশি দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে আগামী ৮ থেকে ১৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে এরই মধ্যে ঢাকায় উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। বিদেশি দলগুলো আসতে শুরু করে দিয়েছে। প্রতিযোগিতার ভেন্যু জাতীয় স্টেডিয়ামও নতুন করে সাজছে। মূল প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর পল্টন আউটার স্টেডিয়াম ও টঙ্গী স্টেডিয়ামে চলছে দেশি-বিদেশি আর্চারদের চূড়ান্তভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পর্ব।

আজ পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে সকালে নিজেদের প্রস্তুত করে নেন ফিলিস্তিনের আর্চাররা। সেখানে দেখা মিললÑচোখে কালো রোদ চশমা, মাথায় সাদা হ্যাট আর পেছনের তির রাখার ব্যাগে ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা সাঁটানো এক নারী আর্চারকে। তার নাম রাশা ইয়াহিয়া আহমেদ। কালো হিজাবে ঢাকা চেহারায় গভীর মনোযোগে অনুশীলন করছিলেন তিনি। একের পর এক টার্গেট বোর্ডে তির ছুড়েন এই সংগ্রামী নারী খেলোয়াড়। ঢাকায় আসন্ন চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতে নিজ দেশ ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে ধরাই তার মূল লক্ষ্য।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডানের মতো দেশের আর্চারদের আনার ব্যবস্থা করেছে চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের জন্য আকুণ্ঠ সমর্থন আছে বাংলাদেশের। সেটি জানেন ফিলিস্তিনের আর্চার রাশাও। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশে এসেছি এবং বিমানবন্দর থেকে শুরু করে এখানকার সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের স্বাগত জানিয়েছে।’

গাজায় জন্ম হলেও রাশা পড়াশোনা করেছেন ওমানে। মাত্র বছর তিনেক আগে আর্চারিতে হাতেখড়ি তার। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অংশ নিয়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তাতে ঢাকায় পদক জয়ের প্রত্যাশা তার। ফিলিস্তিনের আর্চার দলের লক্ষ্য প্রসঙ্গে রাশা বলেন, ‘এখানে আমরা একটা দল হয়ে এসেছি। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার, ভালো পারফর্ম করার এবং লড়াই করে সেরাদের পেছনে ফেলার লক্ষ্য নিয়েই আমরা এসেছি।’

রাশা আরো জানান, নিজ দেশ ফিলিস্তিনের অবস্থা ভালো নয়। তিনি বলেন, ‘গাজা আমার শহর। একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি ভালো নয়, তারপরও আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি, পতাকা উঁচিয়ে ধরি, তখন আমরা ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করি। এজন্য আমাদের সবাই সাধুবাদ জানায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনি নিজের দেশে প্রস্তুতি নিতে পারছেন না, কিন্তু দেশের হয়ে খেলছেন। এই আবেগ অনেক বড় বিষয়। আমাদের জন্য এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা আমার জন্য আসলেই খুবই আবেগের মুহূর্ত যখন আমি এই ইউনিফর্মটা পরি, যখন তির-ধনুক নিয়ে এই পতাকাটা বহন করি দেশের বাইরেÑএটার অর্থ আমার কাছে অনেক কিছু। এটা সব সময় আমার সঙ্গে থাকে। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি খেলাটা উপভোগ করি, কিন্তু ফিলিস্তিনকে প্রতিনিধিত্ব করার অনুভূতি কোনোভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।’

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত