ডিপিএলে ফিক্সিংকাণ্ড
স্পোর্টস রিপোর্টার
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ‘ফিক্সিংকাণ্ড’ নিয়ে তদন্তে অগ্রগতি নেইÑ এমন খবর বেশ পুরোনো। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের ভাগ্যে কী আছে, সেটা নিয়েও সন্দিহান সবাই। ক্লাব ও ডিপিএলের আয়োজক সিসিডিএমও বিষয়টি নিয়ে আছে দ্বিধায়। এর পেছনে মূল কারণ হলো তদন্তকাজে ক্রিকেটারদের অসহযোগিতা। তবে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের ক্লাব দুটির দাবিÑ তদন্তের স্বার্থে ক্রিকেটাররা পুরোপুরি সহযোগিতা করেছেন। ক্লাবগুলোর দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিসিডিএম জানিয়েছে, কোনো ধরনের সহযোগিতাই করেননি ক্রিকেটাররা। আর তদন্তে অসহযোগিতার কারণে ক্রিকেটারদের ওপর বড় শাস্তির খড়গ নেমে আসতে যাচ্ছে।
প্রিমিয়ার লিগের এই ফিক্সিংকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে মূলত চার ক্রিকেটারের নামে। তারা হলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির, রহিম আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া শাকিল এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের আলিফ হাসান ইমন। তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিসিডিএম কর্মকর্তা আমার দেশকে জানান, ক্লাবগুলোকে ক্রিকেটারদের অসহযোগিতার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। ক্রিকেটাররা তদন্তে সহযোগিতা করলে হয়তো শাস্তির মেয়াদ কমে আসত। তবে এখন সেই সম্ভাবনা একদম শূন্যের কোঠায়। কেমন শাস্তি হতে পারেÑ সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। তবে লম্বা সময়ের জন্য সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেÑ সেটা একরকম নিশ্চিত হয়ে আছে।
এই ম্যাচ গড়াপেটার পেছনে কারণ হিসেবে অনেকেই দুই ক্লাব একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকার ব্যাপারটিকে তুলে এনেছেন। দুটি ক্লাবের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর নাম। সে কারণেই মূলত ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি নাÑ সে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করেনি সিসিডিএম কিংবা বিসিবি। কিন্তু যেভাবে গুলশান ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার এই ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছে, তাতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টও জড়িতÑ সেটা একরকম স্পষ্টভাবেই বলা যায়।
কারণ, ম্যাচে একদম জয়ের পথে ছিল শাইনপুকুর। সেখান থেকে ম্যাচ হাতছাড়া করেছে তারা। দলের ম্যানেজমেন্টের নির্দেশেই গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে সুপার লিগে খেলার সুযোগ করে দিতে এমন কাজ করেছে শাইনপুকুর। সেটা তাদের খেলার ধরনেই স্পষ্ট ছিল। দুই ক্লাবের সঙ্গেই বিসিবির সাবেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন জড়িত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করে ক্রিকেটপাড়ার বেশিরভাগ লোক। এরপরও দুই ক্লাব কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো শাস্তি না হলে সেটা হবে বেশ অবাক করার মতো বিষয়। যদিও ফিক্সিংকাণ্ডে ক্লাব দুটির শাস্তি না হলে অন্য দুই ঘটনায় শাস্তি হতে পারে শাইনপুকুর ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের।
বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সময় তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ পেরিয়ে সবগুলো ধাপ উতরে প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। সে সময় রুদ্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ খেলে ঢাকার ক্রিকেটে টিকে থাকা ১৫ ক্লাবের একটি গুলশান। তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের সে ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির মুখে পড়তে পারে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
এ ছাড়া ২০১৬ সালে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে না পারার ব্যর্থতা দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগের দল ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে (সিসিএস) নিলামে তোলে বিসিবি। বেক্সিমকোর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান শাইনপুকুর ক্লাবটি কিনে নেয়। তখন থেকে ক্লাবটির নাম হয়ে যায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। সম্প্রতি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে পুরোনো মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে সিসিডিএম। শেষ পর্যন্ত ক্লাবটি পুরোনো মালিকানায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হলে শাস্তির মুখে পড়বে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ফিক্সিংকাণ্ডে গুলশান ও শাইনপুকুরের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অন্য দুই ঘটনায় তারা বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারেÑ এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ‘ফিক্সিংকাণ্ড’ নিয়ে তদন্তে অগ্রগতি নেইÑ এমন খবর বেশ পুরোনো। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের ভাগ্যে কী আছে, সেটা নিয়েও সন্দিহান সবাই। ক্লাব ও ডিপিএলের আয়োজক সিসিডিএমও বিষয়টি নিয়ে আছে দ্বিধায়। এর পেছনে মূল কারণ হলো তদন্তকাজে ক্রিকেটারদের অসহযোগিতা। তবে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের ক্লাব দুটির দাবিÑ তদন্তের স্বার্থে ক্রিকেটাররা পুরোপুরি সহযোগিতা করেছেন। ক্লাবগুলোর দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিসিডিএম জানিয়েছে, কোনো ধরনের সহযোগিতাই করেননি ক্রিকেটাররা। আর তদন্তে অসহযোগিতার কারণে ক্রিকেটারদের ওপর বড় শাস্তির খড়গ নেমে আসতে যাচ্ছে।
প্রিমিয়ার লিগের এই ফিক্সিংকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে মূলত চার ক্রিকেটারের নামে। তারা হলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির, রহিম আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া শাকিল এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের আলিফ হাসান ইমন। তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিসিডিএম কর্মকর্তা আমার দেশকে জানান, ক্লাবগুলোকে ক্রিকেটারদের অসহযোগিতার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। ক্রিকেটাররা তদন্তে সহযোগিতা করলে হয়তো শাস্তির মেয়াদ কমে আসত। তবে এখন সেই সম্ভাবনা একদম শূন্যের কোঠায়। কেমন শাস্তি হতে পারেÑ সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। তবে লম্বা সময়ের জন্য সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেÑ সেটা একরকম নিশ্চিত হয়ে আছে।
এই ম্যাচ গড়াপেটার পেছনে কারণ হিসেবে অনেকেই দুই ক্লাব একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকার ব্যাপারটিকে তুলে এনেছেন। দুটি ক্লাবের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর নাম। সে কারণেই মূলত ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি নাÑ সে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করেনি সিসিডিএম কিংবা বিসিবি। কিন্তু যেভাবে গুলশান ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার এই ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছে, তাতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টও জড়িতÑ সেটা একরকম স্পষ্টভাবেই বলা যায়।
কারণ, ম্যাচে একদম জয়ের পথে ছিল শাইনপুকুর। সেখান থেকে ম্যাচ হাতছাড়া করেছে তারা। দলের ম্যানেজমেন্টের নির্দেশেই গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে সুপার লিগে খেলার সুযোগ করে দিতে এমন কাজ করেছে শাইনপুকুর। সেটা তাদের খেলার ধরনেই স্পষ্ট ছিল। দুই ক্লাবের সঙ্গেই বিসিবির সাবেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন জড়িত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করে ক্রিকেটপাড়ার বেশিরভাগ লোক। এরপরও দুই ক্লাব কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো শাস্তি না হলে সেটা হবে বেশ অবাক করার মতো বিষয়। যদিও ফিক্সিংকাণ্ডে ক্লাব দুটির শাস্তি না হলে অন্য দুই ঘটনায় শাস্তি হতে পারে শাইনপুকুর ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের।
বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সময় তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ পেরিয়ে সবগুলো ধাপ উতরে প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। সে সময় রুদ্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ খেলে ঢাকার ক্রিকেটে টিকে থাকা ১৫ ক্লাবের একটি গুলশান। তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের সে ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির মুখে পড়তে পারে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
এ ছাড়া ২০১৬ সালে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে না পারার ব্যর্থতা দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগের দল ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে (সিসিএস) নিলামে তোলে বিসিবি। বেক্সিমকোর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান শাইনপুকুর ক্লাবটি কিনে নেয়। তখন থেকে ক্লাবটির নাম হয়ে যায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। সম্প্রতি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে পুরোনো মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে সিসিডিএম। শেষ পর্যন্ত ক্লাবটি পুরোনো মালিকানায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হলে শাস্তির মুখে পড়বে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ফিক্সিংকাণ্ডে গুলশান ও শাইনপুকুরের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অন্য দুই ঘটনায় তারা বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারেÑ এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
২ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
২ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
২ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে