জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চালু করা ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে মোট ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে অনেক বিষয় জড়িত থাকে। এটা নিয়ে যে হয়রানি, তা আর থাকবে না বলে জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। বুধবার সকালে ইসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের অনুকূলে মুদ্রিত প্রায় ১৩ হাজার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে। যাদের নামে এই কার্ডগুলো মুদ্রিত হয়েছে, তাদের ঠিকানা ভুল থাকায় তারা নিতে চাচ্ছেন না।
ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ালো নির্বাচন কমিশন- ইসি। আগে এনআইডির ভুলের ধরন অনুযায়ী ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার ছিলো আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের (আরইও)। সেবাদান সহজ করার জন্য ওই কাজটি করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা নাগরিকের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা একাই হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে অন্তত দুটি ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ- জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন উইং (এনআইডি) হাতছাড়া হবে।
দেড় কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোট দেওয়ার স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা জেগেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় আগে উপায় বের করতে যাওয়ায় এই সম্ভাবনা জেগেছে।