বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য পোশাক। রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগই আসে এ খাত থেকে। আর পোশাকের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের ২০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। একক দেশ হিসেবে এটিই সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ পোশাক এবং কৃষির মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বাইরেও উন্নতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো, উন্নত শাসনব্যবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক নতুন এবং উচ্চপ্রযুক্তির শিল্পের আবির্ভাব হতে পারে।
নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের শিল্প খাতে শ্রমিক অসন্তোষ একটি চলমান বাস্তবতা। বিশেষত পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী খাতে শ্রমিক অসন্তোষ প্রায়ই দেখা যায়, যা শিল্পের উৎপাদনশীলতা ও অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশের রপ্তানি-বাণিজ্য আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ওপর দেশের উন্নতি নির্ভর করে। আমাদের রপ্তানি খাত খুবই কম। প্রধানতম রপ্তানি খাত হচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প খাত।
দেশের পোশাক খাতে বড় ধরনের নাশকতার ছক আঁকা হচ্ছে। ঢাকার আশুলিয়া, গাজীপুরের কোনাবাড়ী, শ্রীপুর ও নারায়ণগঞ্জকেন্দ্রিক এসব ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমকে পোশাকশিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে, শুধু তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভর না করে ভারী যন্ত্রপাতি, বাণিজ্যিক যানবাহন, ইলেকট্রনিকস এবং খাদ্যপণ্যের মতো খাত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে, যার ফলে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বেড়ে যাবে। রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।