‘আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
ইসলামিক স্কলার ও বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী মার্চ ফর গাজার মঞ্চ থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চেয়ে স্লোগান দিয়েছেন। শনিবার ৩ টার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন বলে তিনি স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারির ‘এক নজরে কুরআন’ তাফসীর কুরআন বইটি পাইরেসি কপি তৈরির দায়ে জাহিদ নামে একজন বই বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজহারী বলেন, অন্যের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার আগে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। তারপর অন্যদের শুধরানোর কথা বলা উচিত।
যারা ইসলামের কিংবা কুরআনের কথা বলেন, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী নন। আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যাবে না, তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না। কেউ আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দুনিয়াও শেষ, আখিরাতও শেষ। সবমিলিয়ে ইসলামবিরোধী কোনো মতবাদ মেনে নেয়া যাবে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মাহফিলের বিষয়টি মানুষ জানতে পরেন। শুক্রবার মাহফিলের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়। এদিন রাত থেকেই ঢল নামে মানুষের। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিতি।
নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাহফিলে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি মাঠে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
উন্মোচিত হয়েছে ড. মিজানুর রহমান আজহারির ‘এক নজরে কুরআন’। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘সত্যায়ন প্রকাশন’ আয়োজনে বুধবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচিত হয়।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করতে হবে। ইসলাম হলো আমাদের জীবন ব্যবস্থা। আমরা কুরআন-হাদিসের আলোকে কথা বলি। মানুষকে সচেতন করাই দ্বীনের দায়িত্বের কাজ। এসব ভুলে আমাদের সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।
জামায়াতের বিভাগীয় সমাবেশ করবেন, তা তাফসির মাহফিলের নামে কেন? ওই তাফসিরের সভাপতিত্ব করবেন, জেলা জামায়াতের আমির আবু জার গিফারী, প্রধান অতিথি থাকবেন, জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল। মানুষ এতো বোকা নয়, এ সকল বিষয় নিয়ে জনগণ সজাগ আছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাহফিলে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে। সপ্তাহখানেক আগ থেকেই মঞ্চ ও প্যান্ডেল বানানোর কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা। তাদের কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় দিনমজুর, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ।
মাহফিলের সভাপতি আব্দুল হাকিম জানান, লালমনিরহাট ছাড়াও রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা যোগ দেবেন। প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ২৪-এর রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ। নিরাপদ লাল সবুজের পতাকা।
আওয়ামী রোষানলে পড়ে দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন তরুণ আলেম ও আলোচিত ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।