গত অর্থবছরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৩ কোট ৮৭ লাখ টাকা। আয় হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। নিট মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ সময় বন্দরে ৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা অর্জন হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেশি।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) শুরুতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। মাঝপথে কাটছাঁট করে সে লক্ষ্য কমিয়ে চার লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চলতি বছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছরের মাঝপথে এসে তা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সংশোধিত সে লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারছে না রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটি।
গত একযুগেও এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু তারপরও প্রতিবছরই তার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। বাস্তবতা বিবেচনা না করেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কারণে তা অর্জিত হচ্ছে না। তবে গত সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার পেছনে শুধু অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রাই নয়, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থা
রাজস্ব অদায়েই নয়, ব্যয়েও চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করে অর্থ উপদষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রাজস্ব আয় ও ব্যয়ে সমন্বয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বিচারে ব্যয় করবো এটা হতে পারে না।
টানা একযুগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজস্ব আয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারায় ঋণ নিয়ে ঘাটতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে। এতে বাড়তি ঋণের বোঝা চাপছে সরকারের কাঁধে।