নতুন করে দেয়া এসব বিধিনিষেধ ভঙ্গে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সৌদি মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রাম লঙ্ঘন করবে সেসব কোম্পানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে উচ্চ অঙ্কের আর্থিক জরিমানাসহ ভবিষ্যতে ওমরাহ ভিসা ইস্যুর অনুমতি বাতিলও হতে পারে।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার বলেছেন, এবার একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ উপহার দিতে সরকার ও হাব একযোগে কাজ করছে। সরকারের তৈরি অ্যাপ হজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন ফোরামে ইমাম-খতিবদের কথা বলার যে সুযোগ রয়েছে সেটা কাজে লাগাতে হবে।
সৌদি সরকার মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া ও পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সময় ২৫ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এবং তারা এ বিষয়ে কঠোর সতর্ক বার্তা জারি করে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেনি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়টি ধর্ম সচিবকে নিশ্চিত করেছেন।
ওমরা পালন করতে মক্কা ও মদিনায় নিয়ে গিয়ে আবাসন, পরিবহণ ও আর্থিক হেনস্তাসহ নানা ধরনের হেনস্তা করছে এজেন্সিগুলো।
বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে সেদেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ হজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চলতি বছর হজ এজেন্সি প্রতি এক হাজার হজযাত্রী পাঠানোর নতুন নিয়ম করেছে সৌদি সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও সৌদি সরকার নির্ধারিত নতুন নিয়মের বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হতে বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা এক হাজার জন নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে পত্র মারফত বাংলাদেশকে এতথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়।