গত ১৫ বছরে ঢাকার ওপর দেশটির হস্তক্ষেপ মাত্রা ছাড়িয়েছিল। এ হস্তক্ষেপে ছেদ ঘটায় জুলাই বিপ্লব। বাংলাদেশের ওপর দাদাগিরি করতে যে ‘তাসের ঘর’ এতদিন নির্মাণ করেছিল দিল্লি, তা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের সঙ্গে সঙ্গে ধপাস করে ভেঙে পড়ে।
মেজর ডালিমের লেখা বই ‘আমি মেজর ডালিম বলছি’ (যা শেখ হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ ছিল) এবং এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে আবিষ্কার করার ক্ষেত্র ও সুযোগ তৈরি করবে নিঃসন্দেহে।
চেয়ার টেনে বসতে বসতে আমাদের বললেন, প্রেসিডেন্ট (জিয়াউর রহমান) আজ আমাকে বলেছেন, কি খান সাহেব, হাসিনা আসছে বলে কি ভয় পাচ্ছেন? এটা শুনে আমরা কিছুটা অবাকই হলাম। মনে হলো তাহলে কি প্রেসিডেন্ট নিজেই ভয় পাচ্ছেন!
এখন শেখ হাসিনাকে দেখভালের দায়িত্ব ভারতেরই এবং ভারত সেই দায়িত্ব নিয়েছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময়ের জন্য ভারতেই থাকবেন এটাই এখন সবচেয়ে বড় সত্যি। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা ইসুতে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হলেও তাকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনো পথ নেই।
হাসিনার পতনটা ঠিক হজম করে উঠতে পারছে না প্রতিবেশী দেশ ভারত। পারবেই-বা কী করে, হাসিনা রেজিমের পুরো ফায়দা যে ভারত সুদ-আসলে আদায় করে নিয়েছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।