মিয়ানমারে নির্বাচন নিয়ে জান্তার সমালোচনা করলেই গ্রেপ্তার

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ২০: ৪৫

মিয়ানমারে সম্ভাব্য নির্বাচনে সমালোচনা করলেই গ্রেপ্তারের একটি আইন পাস করেছে জান্তা সরকার। ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার ঘোষণা করেছে—পরিকল্পনার সমালোচনা, প্রতিবাদ কিংবা নির্বাচন বানচালের জন্য কোনো পরিকল্পনা করলেই গ্রেপ্তার হতে হবে। গত কাল বুধবার এমন একটি আইন পাস করেছে জান্তা।

বিজ্ঞাপন

আইনটি ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার পাস এবং কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু।

‘প্রোটেকশন অব মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেটিক ইলেকশন ফ্রম অবস্ট্রাকশন, ডিসরাপশন অ্যান্ড ডেস্ট্রাকশন’ নামের এই নতুন আইনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে— সরকারের নির্বাচন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য, সমালোচনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ, সমালোচনামূলক লিফলেট বা প্রচারপত্র প্রকাশ ও বিতরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

আইনটিতে আরো বলা হয়,কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের নির্বাচন পরিকল্পনার উসকানিমূলক সমালোচনা বা প্রতিবাদ করেন, সেক্ষেত্রে তার শাস্তি হবে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাবাস। কোনো সংগঠন, সংস্থা বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই অপরাধের সাজা হবে সর্বনিম্ন ৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাবাসের সাজা ভেঅগ করতে হবে।

এছাড়া নির্বাচনের সময় ব্যালট পেপার ধ্বংস, ভোটার-প্রার্থী-নির্বাচন কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা-ভাংচুর চালানো হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে সহিংসতা কিংবা হত্যার ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হবে বলেও বলা হয়েছে আইনটিতে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল—অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত