জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৪৫টি দেশ ইতোমধ্যে বা শিগগিরই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ ধরনের ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর হুরিয়াত ডেইলির।
তুরস্কের গণমাধ্যমটি জানায়, ফ্রান্স, কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, পর্তুগাল, নরওয়ে, আর্মেনিয়া, জ্যামাইকা, ট্রিনিদাদ ও টোবাগো, বার্বাডোস ও বাহামাসসহ বিভিন্ন দেশ এই তালিকায় রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার স্বীকৃতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।”
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরু ১৯৮৮ সালে ইয়াসির আরাফাতের একতরফা ঘোষণার মাধ্যমে। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে “অবজারভার স্টেট” মর্যাদা দেয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় সংঘটিত ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আরও জোরদার হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যারিবিয়ান ও ইউরোপীয় দেশগুলোও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা দেবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ সমর্থন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করবে।

