অনুমতি ছাড়া ডেলিভারি ম্যানের কাজ করায় ১৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাজ্য। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি-ভারতীয় ও চীনা নাগরিক। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট দল গত মাসে সাতদিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এই অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানের সময় বিভিন্ন গ্রাম, মফস্বল ও শহরে কাজ করা ডেলিভারি রাইডারদের থামিয়ে তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।
যাদের কাজ করার অনুমতি ছিল না তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অভিযানস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘গত ১৭ নভেম্বর অফিসারদের পূর্ব লন্ডনের নিউহাম হাইস্ট্রিটে মোতায়েন করা হয়। অবৈধভাবে কাজ করায় সেখান থেকে চার বাংলাদেশি ও ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয় নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য।’
এরপর ২৫ নভেম্বর অফিসাররা নরউইচ সিটি সেন্টারে যান। সেখানে তারা অপরাধ প্রবণতা কমানোর অভিযান চালান। সেখান থেকে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। যারমধ্যে দুজনকে ফেরত পাঠানো হবে। তৃতীয় ব্যক্তিকে কঠোর অভিবাসন জামিনে রাখা হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদের ‘ব্যাপক সংস্কারের’ অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ব্রিটেন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যাদের দেশটিতে থাকার কোনো অনুমোদন নেই। একইসঙ্গে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, শাস্তি ও মালামাল জব্দ প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
যুক্তরাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তামন্ত্রী অ্যালেক্স নোরিস বলেছেন, ‘এই সবকিছু একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে: যদি আপনি এ দেশে অবৈধভাবে কাজ করেন তাহলে আপনাকে গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
অনুমতি ছাড়া কেউ যেন কাজ করতে না পারে সেজন্য ডেলিভারো, জাস্ট ইট, উবার ইটসের মতো বড় বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যালেক্স নোরিস।
আরএ


পুতিনকে নৈশভোজে যা খাওয়ালো ভারত
পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে