অবরোধ ভাঙতে ত্রাণের জাহাজ নিয়ে গাজায় যাচ্ছেন গ্রেটা থানবার্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ১৭: ০৫

গাজায় ইসরাইলের চাপিয়ে দেওয়া সর্বাত্মক অবরোধ ভাঙতে ত্রাণের জাহাজ নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডটিতে যাচ্ছেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ। দক্ষিণ ইতালির সিসিলির কাতানিয়া বন্দর থেকে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে ত্রাণবাহী জাহাজে করে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন গ্রেটা থানবার্গ।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের আয়োজনে গাজায় ইসরাইলি অবরোধ ভাঙার এ মিশনে মাদলিন নামের ত্রাণবাহী এ জাহাজটিতে গ্রেটা থানবার্গ ছাড়াও আইরিশ অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ফিলিস্তিনি-ফরাসি রাজনীতিবিদ রিমা হাসানসহ আরো ১১ জন অধিকারকর্মী রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ইসরাইলি আগ্রাসনে জর্জরিত গাজাবাসীকে ত্রাণ দিতে জাহাজটি যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকার তীরে নোঙরের চেষ্টা করবে। গাজায় চলমান মানবিক সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এ যাত্রা শুরু হয়েছে।

গত ২ মে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন গাজায় একই ধরনের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠিয়েছিল। ভূমধ্যসাগরে মাল্টার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে ‘কনসেন্স’ নামের ওই জাহাজটির ওপর ড্রোন হামলা করা হয়। হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করা হলেও এ বিষয়ে তেল আবিবের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর এক মাসের মাথায় নতুন করে আবার গাজার উদ্দেশে ত্রাণবাহী জাহাজটি পাঠালো সংস্থাটি।

যাত্রার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেটা থানবার্গ বলেন, ‘আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি কেননা যা সংঘাত তৈরি করে আমরা তার বিপক্ষে। আমাদের ক্রমাগত চেষ্টা করে যেতে হবে। কেননা যে মুহূর্তে আমরা চেষ্টা বন্ধ করে দেব, আমরা মনুষ্যত্ব হারাবো।’

তিনি বলেন, ‘এ মিশন যত বিপজ্জনকই হোক না কেন, গণহত্যার মুখে পড়া মানুষের জীবনের সামনে পুরো বিশ্বের নিরবতার মতো বিপজ্জনক নয়।’

অধিকারকর্মীরা আশা করছেন , যদি তাদেরকে বাধা দেওয়া না হয় তবে সাতদিনের মধ্যে তারা গাজার উপকূলে পৌঁছাবেন।

২০০৭ থেকে গাজা উপত্যকায় অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। ১৬ বছরের অবরোধ ভাঙতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা ইসরাইলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এর জেরে ১৯ মাসের চলমান আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলিরা। আগ্রাসনের সঙ্গে সঙ্গে গাজার ওপর অবরোধ আরো জোরদার করে তেল আবিব।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত