১ যুগ পর যৌথ নৌ মহড়া শুরু করলো তুরস্ক ও মিশর

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ০২

তুরস্ক ও মিশর ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে। ২২ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অনুষ্ঠিত এই পাঁচ দিনব্যাপী মহড়াটি দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান এবং নতুন আঞ্চলিক ভারসাম্যের উত্থানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সোমবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যৌথ এই মহড়ার নাম "বাহর এল সাদাকা" (আরবি: বন্ধুত্বের সমুদ্র)। আনুষ্ঠানিক নাম হলো "তুর্কিয়ে-মিশর বন্ধুত্বের সমুদ্র নৌ অভিযান বিশেষ মহড়া"।

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিশরের নৌবাহিনীও এতে অংশগ্রহণ করছে। পাশাপাশি মহড়ায় অংশ নিচ্ছে,ফ্রিগেট: টিসিজি ওরুকরেইস, টিসিজি গেদিজ ও দ্রুত আক্রমণকারী জাহাজ: টিসিজি ইম্বাত, টিসিজি বোরা এবং সাবমেরিন: টিসিজি গুর এছাড়াও দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যৌথ মহড়া শুধু সামরিক কৌশল নয়, বরং তুরস্ক ও মিশরের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার পদক্ষেপ, বিশেষ করে বিতর্কিত সামুদ্রিক সীমানা, জ্বালানি সম্পদ এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে।

তুরস্ক বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ সামরিক শক্তি এবং বৈশ্বিকভাবে নবম অবস্থানে রয়েছে। মিশরেরও একটি সুসংগঠিত ও আধুনিক নৌবাহিনী রয়েছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

আঞ্চলিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তুর্কি-মিশর সহযোগিতা ইসরাইল ও তার মিত্রদের জন্য একটি বার্তা, বিশেষ করে সাইপ্রাসে ইসরাইলি সামরিক তৎপরতা ও প্রভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে।

এই মহড়াটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক বাস্তবতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এই সামরিক মহড়াকে অনেকেই আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে দেখছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত