চলমান সংঘাত ও বৈধতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যেই মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর এটিই প্রথম জাতীয় নির্বাচন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
জান্তা সরকার বলছে, এই ভোট দেশের রাজনীতি এবং বছরের পর বছর ধরে অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
তবে জাতিসংঘ, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সরকার এবং অধিকার গোষ্ঠীসহ সমালোচকদের মতে, প্রক্রিয়াটিে অবাধ বা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ এতে অংশ নিচ্ছে না জান্তা-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের দল সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি- ইউএসডিপি অংশ নিচ্ছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পাওয়া নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চি এখনও বন্দি রয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলটি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সামরিক সরকার।
তিন ধাপের ভোটের আজ হচ্ছে প্রথম ধাপ। এরপর ১১ এবং ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ। মোট ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এসব এলাকার সবগুলোতেই জান্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। এখনও ঘোষণা করা হয়নি ভোট গণনা এবং ফলাফলের তারিখ।
থাইল্যান্ডের কাসেতসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ লালিতা হানওয়ং বলেন, এই নির্বাচন মূলত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কৌশল।
বিশ্লেষকদের মতে, চলমান সংঘাতের মধ্যে জান্তার পক্ষে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক মুখোশ দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আরএ
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

