পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার একটি প্রস্তাব পাস করেছে পাঞ্জাবের আইনসভা।
পিটিআই সদস্যরা অধিবেশন বর্জন করায় সরকারি দলের ভোটেই প্রস্তাবটি পাস হয়। খবর ডনের।
এর আগে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী ইমরান খানের ‘সেনাবিরোধী’ বক্তব্যকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে আখ্যা দেন।
তার ওই মন্তব্য ঘিরে পিএমএল-এন এবং পিটিআই নেতাদের মধ্যে তীব্র বাগযুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ অভিযোগ করেন, ইমরান অতীতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন। তাই পাকিস্তানের আইএসপিআরের মন্তব্যে পিটিআইয়ের আপত্তির কোনো ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে পিটিআই সামরিক মুখপাত্রের মন্তব্যকে উদ্ভট বলে আখ্যা দিয়েছে। দলটির তরফে বলা হয়েছে, ইমরান খান কোনোভাবেই নিরাপত্তার জন্য হুমকি নন।
পিএমএল-এন এমপিএ তাহির পারভেজ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। যদিও প্রস্তাবে ইমরান খান বা পিটিআইয়ের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রস্তাবে বলা হয়, যে প্রতিষ্ঠানগুলো পাকিস্তানকে বিভিন্ন ফ্রন্টে রক্ষা করছে এবং ভারতের মতো পাঁচ গুণ বড় শত্রুর মোকাবিলায় সফল হয়েছে তারা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতে আরো বলা হয়, যে রাজনৈতিক দল ও তার প্রতিষ্ঠাতা শত্রু রাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
প্রস্তাবে আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক যেকোনো গোষ্ঠীর নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব ও সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
চলতি বছর শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় সরকার পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ইমরান খান, সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির বিরুদ্ধে সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলার উদ্যোগ নেয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়নি।


ইমরান খানের বোনদের অবস্থান ধর্মঘটে পুলিশের বাধা