ওমানের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী তালিব আল-সায়েদি গত ৩০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। গাল্ফ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (জিসিইউচআর) জানায়, দেশটির ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি সার্ভিস (আইএসএস) তাকে গুম করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে জিসিইউচআর। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
শুক্রবার জিসিএইচআর এক বিবৃতিতে জানায়, ৩০ নভেম্বর তালিব আল-সায়েদিকে ওমানের উত্তর উপকূলবর্তী বৃহত্তম শহর সোহারে অবস্থিত আইএসএস স্পেশাল ব্রাঞ্চে ডেকে পাঠানো হয়েছিল এবং তারপর থেকে তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জিসিএইচআর জানিয়েছে, সায়েদিকে কোনো আইনজীবী বা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
সংগঠনটি অবিলম্বে তার মুক্তি, ওমানে ‘বিচারিক হয়রানি’ বন্ধ এবং সকল অধিকার কর্মীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি আল-আমারাত জেলায় কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় তাদের নিজের বাড়িতে ছয়জন মারা যান। এই প্রসঙ্গে সায়েদি সরকারি সহায়তা কর্মসূচির ঘাটতি নিয়ে কথা বলেন, যে সহায়তা পেলে ওই ছয়জনের জীবন বেঁচে যেতে পারত।
এ ঘটনায় জবাবদিহিতার দাবিতে আরো অনেকে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু সায়েদি ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা পরিষেবার নজরে ছিলেন।
তাকে এরআগেও দুবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রথমবার ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়ার জন্য। দ্বিতীয়বার ২০১৫ সালের মার্চ মাসে সামাজিকমাধ্যমে তার কার্যকলাপের সঙ্গে কারণে। জিসিএইচআর বলেছে, সাঈদি সবসময়েই শান্তিপূর্ণভাবে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করেছেন।
দেশটির মানবাধিকার কর্মী ও ব্লগাররা সুলতান এবং তার সরকারের সমালোচনা নিষিদ্ধকারী লেস-ম্যাজেস্টি সেন্সরশিপ আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আইনে ২০১১ সাল থেকে অনেক মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আইনে একজন রাজার অপমান বা মানহানিকারী বক্তৃতা বা কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ওমানের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ‘অপ্রয়োজনীয়ভাবে সীমাবদ্ধ, কখনো কখনো সাংবাদিক এবং অনলাইন কর্মীদের বিচার করা হচ্ছে’।
আরএ


গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান মিশরের
ইমরান খানকে নিয়ে সেনাবাহিনীর অভিযোগ হাস্যকর: পিটিআই