ব্যবসায়িক বিনিয়োগের উত্থান দুর্বল ভোক্তা ব্যয় ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের মন্দা সত্ত্বেও মার্কিন অর্থনীতিকে প্রায় স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ব্যবসায়িক অর্থনীতিবিদ সমিতি (NABE) এর এক জরিপ। তবে কর্মসংস্থান বাড়ার ধীরগতি, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল থাকার আশঙ্কা অর্থনৈতিক পূর্বাভাসকে কিছুটা নেতিবাচক করেছে। খবর: রয়টার্স
জরিপে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন আমদানি শুল্ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অর্ধ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে, কারণ এতে আমদানি-রপ্তানি উভয়ই হ্রাস পাচ্ছে এবং পণ্যের দাম বাড়ছে।
ফেডারেল রিজার্ভের পছন্দের মূল্যসূচক পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচারস (PCE) অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি এ বছরের শেষে ৩ শতাংশে নামবে বলে ধারণা করা হয়েছে যা জুনের ৩ দশমিক ১ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কম। তবে ২০২৬ সালে এটি মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে জুনে পূর্বাভাস ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি ২ শতাংশ লক্ষ্যে ফেরার প্রক্রিয়া ধীর গতির।
অর্থনীতিবিদরা অনুমান করছেন, এ বছরের বাকি সময়ে মাসে গড়ে মাত্র উনত্রিশ হাজার নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে, আর আগামী বছর তা বাড়বে পঁচাত্তর হাজারে। যা জুনের সাতানব্বই হাজার পূর্বাভাসের চেয়ে কম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও কম্পিউটার প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিই বেকারত্ব বাড়ার কারণ হতে পারে বলে মনে করেন জরিপে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদরা।

