দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশেষ অস্ত্র’ মোতায়েন করলো উত্তর কোরিয়ার

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৫

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঘোষণা করেছেন যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি ও অস্ত্র মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর “বিশেষ অস্ত্র” মোতায়েন করেছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

রোববার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল-আরাবিয়াএক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল পিয়ংইয়ংয়ে একটি অস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের সময় কিম বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অস্ত্র তৈরির সাথে সাথে, এই অঞ্চল সম্পর্কে আমাদের কৌশলগত উদ্বেগ বেড়েছে, এবং সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের বিশেষ সম্পদগুলিকে প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে বরাদ্দ করেছি।”

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “শত্রুদের... তাদের নিরাপত্তা পরিবেশ কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত থাকা উচিত।” যদিও “বিশেষ অস্ত্র” বলতে তিনি ঠিক কী বোঝাচ্ছেন, তা খোলাসা করেননি।

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৮,৫০০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা নিয়ে পিয়ংইয়ং বরাবরের মতোই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের দাবি, এসব মহড়া আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ হামলার প্রস্তুতির অংশ।

কেসিএনএ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কিম একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পাশে হেঁটে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত মার্কিন-উত্তর কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক একপ্রকার অচলাবস্থায় পৌঁছায়। যদিও কিম সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে একচুলও সরে আসবে না।

উত্তর কোরিয়া নিজেকে ইতিমধ্যে “অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক রাষ্ট্র” ঘোষণা করেছে এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মুখেও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কিমের ‘বিশেষ অস্ত্র’ মোতায়েনের ঘোষণা কেবল দক্ষিণ কোরিয়া নয়, পুরো অঞ্চলে নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়াতে পারে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত