ইরাকের কুর্দিস্তানে পিকেকে সদস্যদের অস্ত্র সমর্পণ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১২: ৫৭
ফাইল ছবি

ইরাকের কুর্দিস্তানে অস্ত্র সমর্পণ করছে বিদ্রোহী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এর সদস্যরা। শুক্রবার সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স-২৪ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইরাকের কুর্দিস্তানে পাহাড়ের একটি অজ্ঞাত স্থানে গোপনীয়তা রক্ষা করে অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে পিকেকে’র একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, প্রায় ৩০ জন যোদ্ধা তাদের অস্ত্র জমা দেবেন।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত ১ জুলাই এএফপিকে এক পিকেকে কমান্ডার জানিয়েছেন, ‘সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন পিকেকে যোদ্ধা একটি অনুষ্ঠানে তাদের অস্ত্র ধ্বংস বা পুড়িয়ে ফেলবেন।’

অস্ত্র জমা দেওয়ার এই অনুষ্ঠানকে সশস্ত্র বিদ্রোহ থেকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা এই অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সংঘাতগুলোর মধ্যে একটির অবসান ঘটানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

গত কয়েক দশক ধরে স্বাধীন কুর্দিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে আসছিল পিকেকে। গত মে মাসে তুরস্কের বিরুদ্ধে চলা সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘটানোর ঘোষণা দেয় তারা।

ইরাকের উত্তরাঞ্চল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে পিকেকে। গত মে মাসে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে পিকেকের নির্বাহী কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শান্তি ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের নেতা ওসালানের আহ্বান কার্যকরের উদ্দেশে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।’

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আবদুল্লাহ ওসালান পিকেকে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৪ সালে অস্ত্র হাতে নেয় এই দলের সদস্যরা।

চার দশকের বেশি সময় পর, গত মে মাসে পিকেকে তাদের তাদের চলমান লড়াই থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। তবে তারা সংখ্যালঘু কুর্দিদের অধিকারের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় লড়াই চালিয়ে যাবে।

পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওসালান তার সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি সংগঠনটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা এবং তুর্কি সরকারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতি টানারও আহ্বান জানান তিনি। এরপর তুরস্ক সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয় পিকেকে।

১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকার কারাগারে বন্দী আছেন পিকেকের প্রধান আবদুল্লাহ ওসালান। এরপর থেকে চার দশক ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধে একাধিকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত