ইরানে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে—ইসরাইলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এই উদ্বেগকে ঘনীভূত করছে।
ইসরাইল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর একদিন আগে নেতানিয়াহু তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের পুনরুত্থানকে কটাক্ষ করেন, যা সরাসরি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
আঙ্কারা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে অপ্রয়োজনীয় এবং উত্তেজনা বাড়ানোর প্রয়াস হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। একইসঙ্গে তুর্কি সরকার আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। জানা গেছে, হামলার পরপরই তুরস্কের রাডার ইসরাইলি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়।
তুরস্কের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা স্তরে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরদোয়ান বিভিন্ন আঞ্চলিক নেতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দেশের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, ইসরাইল তুরস্ককে ঘিরে ফেলার বৃহত্তর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এমএইচপি নেতা দেবলেত বাহচেলি বলেছেন, ‘ইসরাইলের লক্ষ্য তুরস্কের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দমন করা।’
এরদোয়ান প্রতিরক্ষা খাতে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের অঙ্গীকার করেছেন এবং অটোমান সাম্রাজ্যের ঐতিহ্যের প্রতীক ব্যবহার করে তার বার্তা দিয়েছেন, ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকাই শান্তির একমাত্র নিশ্চয়তা।’
সূত্র: মিডল ইস্ট আই

