ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানালেন মাহমুদ আব্বাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৭
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৯

জায় আগ্রাসনের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মনাকো ও অ্যান্ডোরা। সোমবার দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ভিত্তিতে ইসরাইলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতিসংঘের এক সম্মেলনে দেশগুলো এ স্বীকৃতি দেয়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশগুলোর এ স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা না পাওয়ায় সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হন মাহমুদ আব্বাস। সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সনদের বৈধতার অনুসরণে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে এসব স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

এর মাধ্যমে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর সংখ্যা ১৫৯ তে দাঁড়িয়েছে।

ভাষণে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার অধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের মীমাংসায় দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের পথ খুলে যাবে।

মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আমরা বাকিদের আহ্বান জানাচ্ছি একই ধারা অনুসরণের। আমরা আপনাদের সমর্থনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি যাতে করে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে পারে।’

ভাষণে তিনি গাজায় অতিদ্রুত যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান যাতে করে ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির পথ খুলে যায়। একইসঙ্গে গাজা থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠন ও অসহায় গাজাবাসীর চাহিদা পূরণে ত্রাণ সরবরাহের পথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।

মাহমুদ আব্বাস তার ভাষণে বলেন, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে অবশ্যই ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো ধরনের দায়িত্বে হামাস থাকবে না বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, সব ধরনের সিদ্ধান্ত ও সংস্কার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। গাজাযুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ভাষণে তিনি যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য মধ্যস্থতা করায় কাতার ও মিসরকে এবং গাজাবাসীকে উচ্ছেদ করে ভিন্ন দেশে পাঠানোর পরিকল্পনায় বাধা দেওয়ায় জর্দান ও মিসরকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে মঙ্গলবার গাজায় আগ্রাসনের ৭১৮তম দিনে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। আলজাজিরা জানায়, ভোর থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত