সুদানে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করাই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, কেননা দেশটি ক্রমেই একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে রুবিও জানান, নতুন বছরের শুরুতে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠাই ওয়াশিংটনের লক্ষ্য, যাতে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছাতে পারে। তবে তিনি স্বীকার করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাহায্য সরবরাহ কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশের পথে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। রুবিও জানান, সুদানী সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সংঘাতকে ইন্ধন জোগাতে বাইরের শক্তিগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে এবং মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ সৃষ্টি করছে, পাশাপাশি সংঘাতে যুক্ত পক্ষগুলোকে আলোচনায় আনতে আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, একাধিকবার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে বেসামরিক শাসনে উত্তরণ ব্যর্থ হওয়ার পর সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। চলতি বছরের অক্টোবরে আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশার দখল করলে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ঘটে এবং খাদ্য সংকট আরো তীব্র হয়।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

