বিশেষ ট্রেনে চীন সফরে কিম জং উন

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪২

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সোমবার বিশেষ ট্রেনে করে চীনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তিনি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠাতব্য একটি বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে।

সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, কিম মঙ্গলবার বেইজিং পৌঁছাতে পারেন। এবারের চীন সফর কিম জং উনের জন্য প্রথমবারের মতো কোনো বড় বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ।

এই আয়োজনে কিম ছাড়াও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণেই এই সফর ।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের ফাঁকে কিমের চীনের প্রেসিডেন্ট শি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে উত্তর কোরিয়া, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে কিম জং উনের দাদা কিম ইল সুং প্রায়ই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করলেও, কিম জং উন এবং তার পিতা কিম জং ইল তুলনামূলকভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কম সক্রিয় ছিলেন। এই সফর সেই ধারায় একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক কৌশলগত সহযোগিতা ও নিরাপত্তা জোট দৃঢ় হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া তাদের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগ দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঐতিহাসিকভাবে, ১৯৪৫ সালে জাপানের পরাজয় এবং ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্ট শাসনের উত্থান কোরিয়ান উপদ্বীপে উত্তেজনার সূচনা করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত হয়ে পড়ে উপদ্বীপ, যার পরিণতি এখনও অমীমাংসিত। এই প্রেক্ষাপটে কিম জং উনের চীন সফরকে অনেকেই আঞ্চলিক কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে করছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত