কলম্বিয়ায় দু’টি আলাদা হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। বৃহস্পতিবার দেশটির তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর ক্যালিতে একটি ব্যস্ত সড়কে স্কুলের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়। এতে আহত হন আরো ৭১ জন। এরআগে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ হেলিকপ্টারে পৃথক ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। খবর বিবিসির।
এই হামলার জন্য বর্তমানে বিলুপ্ত রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া (ফার্ক) গ্রুপের বিভিন্ন ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীকে দায়ী করা হচ্ছে।
পুলিশ হেলিকপ্টারে হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বলেন, বিমানটি কোকেনের প্রধান উপাদান - কোকা পাতার ফসল নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছিল।
একটি ড্রোনের আঘাতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে থাকা ১২ জন কর্মকর্তা নিহত হন।
আরেকটি হামলার বিসয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যালিতে মার্কো ফিদেল সুয়ারেজ মিলিটারি এভিয়েশন স্কুল লক্ষ্য করে গাড়ি হামলা চালানো হয়। এরফলে ফলে রাস্তায় থাকা বেসামরিক নাগরিকরা নিহত হন এবং আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘বিমান ঘাঁটির কাছে কিছু একটা বিস্ফোরিত হওয়ার বিকট শব্দ শুনেছেন।’
ক্যালির মেয়র আলেজান্দ্রো এডার শহরটিতে সামরিক আইন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শহরে বড় ট্রাক প্রবেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাও দিয়েছেন। পাশাপাশি জনসাধারণকে কোন অপতৎপরতা সম্পর্কে তথ্য জানাতে ১০ হাজার ডলার পুরস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
উভয় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট নাগরিকদের জন্য বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, ‘রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের কাছে নতি স্বীকার করবে না। আইনের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কলম্বিয়ায় সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং ভিন্নমতাবলম্বী বিদ্রোহী, আধাসামরিক বাহিনী বা মাদক চক্রের মধ্যে সংঘর্ষ।
আরএ


৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ভিসাধারীর রেকর্ড খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন শর্ত দিলেন নেতানিয়াহু