পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী ২৩ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরাইল সেনাবাহিনীর দাবি ওই যুবক ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হেবরন শহরের উত্তরে মুহাম্মদ ওয়ায়েল আল-শারৌফকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। তবে রোববার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছিল, ‘হেবরন এলাকায় ছুরিকাঘাতের চেষ্টাকারী এক সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হয়েছে।’
ইসরাইলের এমন যুক্তি কতুটুক বিশ্বাসযোগ্য?
এর আগে, শনিবার ফিলিস্তিনি নাগরিক বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তর পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে হত্যা করেছে, তখন দখলদার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক ব্যক্তি সৈন্যদের দিকে বিস্ফোরক ছুঁড়েছে।
শনিবারের ঘটনায় ফিলিস্তিনের জেনারেল অথরিটি অফ সিভিল অ্যাফেয়ার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিম জেনিন গভর্নরেটের সিলাত আল-হারিথিয়া গ্রামে ইসরাইলি বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৬ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইয়াদ আবাহরা নিহত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী মারা যাওয়া আবাহরা লাশও আটকে রেখেছে।
ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি চালিয়ে জবাব দেয় আর সন্ত্রাসীকে নির্মূলের কথা বলে, এর বিপরীতে মারা যায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল পশ্চিম তীর দখল করে আছে এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের উপর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে সহিংসতা বেড়েছে।
ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে ১,০৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, প্রায় ১১,০০০ জন আহত হয়েছে এবং প্রায় ২১,০০০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র: আল-আরাবিয়া।

