যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট জরিপকারী মার্ক মিশেল দেশটির বড় কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি পরামর্শ প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির কথাও জানান মিশেল। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক্সে মিশেল লিখেছেন, জীবনে কখনো এভাবে কিছু চাননি তিনি। বড় বড় করপোরেশনকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’-করণে সাহায্য করতে নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা বংশোদ্ভূত। ওই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামক পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন রাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।
তিনি বলেন, বার্ষিক ৯০ হাজার ডলার আয়কারী একজন এইচ-১বি ডেভেলপারকে আনা ঘণ্টায় ৯ ডলার আয়কারী ১০ জন অনথিভুক্ত কর্মীকে আমদানি করার সমান।
তিনি বলেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরত পাঠানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান। তাদের অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের হলেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি ২০ লাখ প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়েছেন বলে জানান মিশেল। ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ভারতীয়করণ’ করেছে বলে মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে দাবি করে মিশেল বলেন, কোম্পানিগুলো আমেরিকার সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ, তাদের হাতে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অশেষ ভান্ডার’ রয়েছে।
এদিকে, মিশেলের মন্তব্যকে ভালোভাবে নেননি ভারতীয়রা।


ভারতকে কী বার্তা দিতে চান ট্রাম্প
থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত, ২১ জনের মৃত্যু