হাইতিতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে গ্যাং দমনে চাপ বজায় রাখতে কেনিয়া সোমবার অতিরিক্ত শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে। নতুন দলটি সেখানে অবস্থানরত কেনিয়ান বাহিনীর একটি অংশকে বদলি করে তাদের মিশন অব্যাহত রাখবে।
দীর্ঘদিন ধরে অপরাধী গ্যাংগুলোর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হাইতির পরিস্থিতি ২০২৪ সালের শুরুর দিকে আরও খারাপ হয়, যখন তারা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরিকে পদত্যাগে বাধ্য করে। জাতিসংঘের হিসেবে, এখন রাজধানী পোর্ট-অ’-প্রিন্সের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে, যেখানে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অপহরণ প্রতিদিনের ঘটনা।
হাইতির দুর্বল নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে ২০২৩ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কেনিয়ার নেতৃত্বে একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা মিশনের অনুমোদন দেয়। কিন্তু প্রত্যাশিত ২,৫০০ সদস্যের বদলে মাত্র প্রায় ১,০০০ সদস্য নিয়ে দলটি পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও অর্থের অভাবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
সোমবার কেনিয়ার ২৩০ জন নতুন পুলিশ সদস্য হাইতিতে পৌঁছেছে, আর ১০০ সদস্য তাদের মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বলে এএফপিকে জানিয়েছে এক হাইতিয়ান সরকারি সূত্র।
সেপ্টেম্বরের শেষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হাইতিতে আরও শক্তিশালী অ্যান্টি-গ্যাং বাহিনী গঠনের অনুমোদন দেয়।
আমেরিকার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতিতে গত নয় বছর ধরে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। দেশটি বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। বিধানসভা ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৬ সালের গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সূত্র: এএফপি
এসআর

