গাজায় যুদ্ধাপরাধে সহায়তা

আইসিসিতে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০: ১৫

গাজায় ১৫ মাস ধরে বর্বর আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। আর এতে পূর্ণ সহায়তা করেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন প্রশাসনের সহায়তা ও প্ররোচনায় গাজায় গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল। এবার গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাইডেন, তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আইসিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকার অলাভজনক একটি সংস্থা ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডন)।

সংস্থাটি গত ১৯ জানুয়ারি আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খানের কাছে ১৭২ পৃষ্ঠার একটি চিঠি জমা দেয়। আইসিসি নিবন্ধিত আইনজীবী এবং অন্য যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় প্রস্তুত করা এ চিঠিতে গাজায় ইসরাইলি অপরাধকে সহজ করার জন্য সামরিক, রাজনৈতিক এবং জনসাধারণকে সমর্থনের জন্য এই কর্মকর্তাদের ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যমূলক সিদ্ধান্তের একটি নমুনা বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এই অভিযোগে বলা হয়, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে সহায়তা দিয়ে বাইডেন প্রশাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। চিঠিতে দেশটির সামরিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়, যা গাজায় ইসরাইলি অপরাধকে আরো তীব্র করে তুলেছিল।

ডনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরাইলকে দেওয়া কমপক্ষে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, কূটনৈতিক সুরক্ষা এবং ইসরাইলের অপরাধের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মতো বিষয়গুলোতে বাইডেন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা নির্দেশ করে।

এ প্রসঙ্গে যুদ্ধাপরাধবিষয়ক আইনজীবী রিড ব্রডি বলেন, ফিলিস্তিনি হাসপাতাল, স্কুল ও ঘরবাড়িতে আমেরিকার তৈরি বোমা ব্যবহৃত হতো। বিষয়টি বাইডেন প্রশাসন জানার পরও ইসরাইলকে সহায়তা বন্ধ করেনি।

গত বছর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের পাশাপাশি হামাসের সামরিক নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত