ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা

অমিত শাহর পরিসংখ্যান ও বক্তব্য মিথ্যা দাবি ওয়াইসির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪: ০৪

ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা ও সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াইসি দাবি করেন, ভারতের প্রথম আদমশুমারি থেকে ২০১১ সালের আদমশুমারি পর্যন্ত মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চার দশমিক চার শতাংশ। এ সময় তিনি অমিত শাহর পরিসংখ্যানকে দুর্বল বলে অভিহিত করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে অমিত শাহ একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি একের পর এক মিথ্যা বলেছেন। একদিকে মোহন ভগত বলেছেন যে, একটি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে যোগী আদিত্য নাথ দাবি করেছেন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা কমছে।

তিনি আরো বলেন, যদি কোনো জনসংখ্যায় ১০ জন মানুষ থাকে এবং আরো ১০ জন মানুষ বৃদ্ধি পায়, তাহলে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১০০ শতাংশ দেখাবে। এই পরিসংখ্যান দেখে অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন। অঙ্কে অমিত শাহর কোনো দুর্বলতা আছে কি না-এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

দেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুসলিম জনগোষ্ঠীর মোট জন্মহার সবচেয়ে বেশি কমেছে। যদি কেউ অনুপ্রবেশ করে, তাহলে মন্ত্রী হয়ে তিনি কেন সেটা ঠেকাতে পারছেন না। অমিত শাহর উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি বাংলাভাষী সব ভারতীয় মুসলিমকে বাংলাদেশি বলেন, তাহলে সেটা ভুল।

এর আগে গত শুক্রবার ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেন অমিত শাহ। বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ১৯৫১ থেকে ২০১১ সালের আদমশুমারিতে উঠে আসা সব ধর্মের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পার্থক্য মূলত অনুপ্রবেশের কারণেই হয়েছে। তার দাবি, ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা যেখানে ২৪ দশমিক ছয় হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে হিন্দুদের জনসংখ্যা চার দশমিক পাঁচ হারে কমছে। এজন্য সীমান্তে অনুপ্রবেশ দায়ী বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত