বিশ্বব্যাপী ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী ইসরাইলি সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার প্যারিসভিত্তিক অধিকারগোষ্ঠী রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিওটির মতে, ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা বেড়েছে। এক বছরের মধ্যে ৬৭ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন ‘সামরিক বাহিনী ও অপরাধী গোষ্ঠীর’ হাতে মারা গেছেন। গত ১২ মাসে নিহত সাংবাদিকদের প্রায় অর্ধেক (৪৩ শতাংশ) ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে গাজায় নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রায় ২২০ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে। ৬৫ জন সাংবাদিককে তাদের পেশাগত কারণে বা কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের সংখ্যা অন্তত ২৫৭ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ছিল গত ২৫ আগস্ট। ওই দিন দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে রয়টার্স ও এপির দুজনসহ পাঁচ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।
বিদেশি সাংবাদিক আটকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে ইসরাইল। ২০২৫ সালে ২০ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে কারাবন্দি করেছে তেল আবিব। এছাড়া গত দুই বছরে গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ১৬ জন সাংবাদিককে কারাবন্দি করেছে ইসরাইল।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকারের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনীর অনুমতি ছাড়া বিদেশি সাংবাদিকরা এখনো গাজায় প্রবেশ করতে পারেন না।
প্রতিবেদনে মেক্সিকোকে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২৫ সালে দেশটিতে ৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে সাংবাদিকদের কারাবন্দি করার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে চীন। চলতি বছর দেশটিতে ১২১ জন সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সাংবাদিকরা তাদের নিজ দেশেই বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হন। কারণ দুজন ছাড়া বাকি সবাই তাদের নিজ দেশে কর্তব্য পালনের সময় নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সুদানে সংঘাত অব্যাহত থাকায় সাংবাদিকরা গুরুতর নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছেন। আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ২০২৫ সালে চারজন সাংবাদিককে হত্যা করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৩৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে মোট ৩৭ জন বর্তমানে সিরিয়ায় নিখোঁজ, যারা ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসনামলে সরকার কর্তৃক বন্দি হওয়ার পর অথবা সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছিলেন। সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড


বিশ্বের কাছে ভাবমূর্তি ঠিক করতে বাজেট বাড়াল ইসরাইল