চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে গতকাল সোমবার ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের পর আগামী এপ্রিল মাসে বেইজিং সফরে যেতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে শি জিনপিংকেও আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। ফোনালাপে বাণিজ্য থেকে শুরু করে ইউক্রেন যুদ্ধ ও তাইওয়ানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প ও শি জিনপিং প্রায় এক মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করেছিলেন। সর্বশেষ এই ফোনালাপে তারা বাণিজ্য, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ, ফেন্টানিল এবং তাইওয়ানসহ নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।
ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়!’
অন্যদিকে চীনের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, দুই দেশই সমতা, সম্মান ও পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে ইতিবাচক অগ্রগতির গতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, সোমবারের ফোনালাপ প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল এবং সেখানে মূলত বাণিজ্যকেন্দ্রিক আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে আমরা যা দেখছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট এবং তারাও একই বিষয় অনুভব করছে।’
বাণিজ্যের পাশাপাশি ট্রাম্প ও শি জিনপিং রাশিয়ার ইউক্রেন এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট চিনপিং ট্রাম্পকে বলেন, তাইওয়ানের চীনে প্রত্যাবর্তন যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় চীনের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ফোনালাপ নিয়ে ট্রাম্প তার পোস্টে তাইওয়ানের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

