ফিলিস্তিন এবং ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। মাদুরো ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার অটল ও নিঃশর্ত সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামকে ‘মানবতার সবচেয়ে পবিত্র উদ্দেশ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত ২৩ নভেম্বর জন্মদিন ছিল নিকোলাস মাদুরোর। জীবনের এমন আনন্দঘন মুহূর্তেও তিনি ফিলিস্তিনিদের স্মরণে রেখেছেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনিদের প্রতীক কেফিয়েহ পড়ে জনসমক্ষে উপস্থিত হন মাদুরো। জন্মদিন উদযাপনের পুরোটা সময়ই তিনি ফিলিস্তিনি কেফিয়া পড়েছিলেন। এসময় আনন্দমুখর পরিবেশে, ভক্তদের সাথে হাসি মুখে কেক কাটতে দেখা যায় মাদুরোকে।
মাদুরোর পরিধেয় স্কার্ফটিতে দুটি আরবি লেখা ছিল - একটিতে লেখা ছিল ‘আমরা সবাই গাজা’ আর অন্যটিতে ছিল ‘তুফান আল আকসা’ বা ‘আল আকসা প্লাবন’। তুফান আল আকসা’ হচ্ছে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শুরু করা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের একটি বড় সামরিক অভিযান। যার লক্ষ্য ছিল আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
মাদুরোর বিশ্বাস, ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসান না হলে এবং সংঘটিত অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে প্রকৃত শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।
দক্ষিণ আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামী সিমন বলিভারের আদর্শে বিশ্বাসী নিকোলাস মাদুরো। তিনি ভেনিজুয়েলার ‘বলিভারিয়ান’ পররাষ্ট্রনীতির ঐতিহ্য বজায় রেখে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামকে লাতিন আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নীতির একটি কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে জোরালোভাবে সমর্থন করেন।

