ইরান জোর দিয়ে বলেছে যে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কেবল বাইরে আক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। তাই তাদের অস্ত্রাগারের অস্তিত্ব নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছে।
জুন মাসে মধ্যে সংঘটিত ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরাইল ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে প্রধান হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। এরপর থেকে এই অবকাঠামোগুলো আলোচনা কেন্দ্র পরিণত করেছে ইসরাইল।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আলোচনার জন্য নয়, বরং ইরানের ভূখণ্ড রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছিল,
"অতএব, ইরান আক্রমণের যেকোনো চিন্তাভাবনা থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা, তা এমন কোনো বিষয় নয় যা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।"
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষমতা ইসরাইলকে আঘাত করার দূরত্বে নিয়ে গেছে, এবং জুন মাসে যুদ্ধের ইসরাইলের অভূতপূর্ব আক্রমণের পর, তেহরান ইসরাইলি শহরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায়।
মার্কিন সম্প্রচারক এনবিসির মতে, যুদ্ধের পর ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন পুনর্নির্মাণ এবং সম্প্রসারণ করতে চাইছে, যার কারণে ইসরাইল ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। ইরানের সেই প্রচেষ্টাকে বানচাল করার জন্য আবারো আক্রমণ করার চেষ্টা করতে পারে ইসরাইল।
সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময়, ইসরাইল ইরানের সামরিক স্থাপনা, পারমাণবিক স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা করেছে।
অন্যদিকে ইসরাইল জানিয়েছে, তাদের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ৫০টিরও বেশি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে এর ফলে ২৮ জন মারা গেছে।
এছাড়া যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালিয়ে তার মিত্রের সাথে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যোগ দিয়েছিল।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


ইরানে সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে ট্রাম্পকে অবহিত করবেন নেতানিয়াহু