ডিজিটালাইজেশনের নামে লুটপাটের নতুন খাত তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। এর জন্য বেছে নেওয়া হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা আইসিটি বিভাগকে। এখানে কীভাবে নীতি, সুশাসন ও জনস্বার্থকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার-তার বিস্তারিত উঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট খাত নিয়ে প্রকাশ হতে যাওয়া কয়েক হাজার পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রে। প্রকাশিতব্য শ্বেতপত্রের বেশকিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে আমার দেশ।
ডিজিটাল কানেকটিভিটি, হাই-টেক পার্ক, এ-টু-আই প্রকল্প ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ পুরো আইসিটি খাতে অনিয়ম, পরিকল্পিত পদ্ধতিগত অপচয় এবং দুর্নীতির মাধ্যমে আইসিটি খাতকে কীভাবে শেখ পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করা হয়েছিল-সেই চিত্র উঠে এসেছে এতে। টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক রেজওয়ান খান, অধ্যাপক চৌধুরী মফিজুর রহমান ও অধ্যাপক রিফাত শাহরিয়ার।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে শেখ পরিবারের ব্র্যান্ডিং
শ্বেতপত্রে বলা হয়, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি সময়ের সঙ্গে শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন পরিকল্পনাই হয়ে থাকেনি; ধীরে ধীরে এটি শেখ পরিবারকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং কাঠামোয়ও পরিণত হয়। অন্তত ৭৭টি প্রকল্প ও উদ্যোগে সরাসরি রাজনৈতিক নাম বহন করা হয়েছেÑএর মধ্যে শেখ হাসিনার নামে চারটি, শেখ মুজিবের নামে ২২টি, শেখ কামালের নামে ৩৫টি, শেখ রাসেলের নামে ১৩টি এবং শেখ জামাল ও জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে পৃথক প্রকল্প ছিল। এই নামকরণ শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছিল না; বরং প্রকল্প অনুমোদন, দ্রুত অর্থ ছাড়, জায়গা নির্বাচন এবং প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রাধিকার নির্ধারণে এটি কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
২০১০-১৫ সালে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি এবং শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিংয়ের সূচনা হয়। ২০১৬-১৯ সালে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে এটি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত হয়। ২০২০-২২ সালে ‘মুজিব ১০০’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ব্যানারে অ্যাপ, চলচ্চিত্র ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রকল্প যুক্ত হয়, যা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রচারের চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হাজার কোটির হাই-টেক পার্কে শত শত কোটি টাকার অপচয়
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত আটটি প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও ভবন নির্মাণে ৪১৬ কোটি টাকারও বেশি রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় হয়েছে। এই ব্যয় বাজারদরের তুলনায় তিনগুণ পর্যন্ত বেশি দেখানো হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন পর্যায়েই ব্যয় ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলিয়ে দেখানো হয় এবং পরবর্তী টেন্ডার ও বিল যাচাই প্রক্রিয়াতেও সেই অতিরিক্ত ব্যয় বহাল রাখা হয়।
এসব প্রকল্পের বড় অংশের বাস্তব ব্যবহার খুবই কম। কোথাও ভবন তালাবদ্ধ পড়ে আছে, কোথাও অস্থিতিশীল বিদ্যুৎ সংযোগ, কোথাও নিরাপত্তাহীনতা, আবার কোথাও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবকাঠামো দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। কালিয়াকৈর ও সিলেটে মাঠ পর্যায়ের পরিদর্শনে ভাঙাচোরা স্থাপনা, চুরি এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতির চিত্র পাওয়া গেছে, যাকে শ্বেতপত্রে ‘হাই-টেক ছাড়া সবই’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের টাকা সিনেমায়
শেখ মুজিবের প্রচারে আইসিটি প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ১৬ কোটি টাকা ‘খোকা’ নামের একটি দলীয় চলচ্চিত্র প্রযোজনায় স্থানান্তর করা হয়। অর্থাৎ, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ডিজিটাল অবকাঠামোর জন্য বরাদ্দ করা রাষ্ট্রীয় অর্থ রাজনৈতিক ঘরানার একটি বিনোদন প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে। শ্বেতপত্রে এটিকে রাষ্ট্রীয় তহবিলের উদ্দেশ্যবহির্ভূত ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শেখ কামাল ও শেখ রাসেল-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে প্রশিক্ষণের নামে ১৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। প্রশিক্ষণ খাতে সবচেয়ে বড় ব্যয় দেখা গেছে শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টারসহ ১২টি আইটি প্রকল্পে। ৩০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে ১৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু এসব প্রশিক্ষণের বড় অংশই জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা কোনো বহিরাগত মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে।
রাজশাহী হাই-টেক পার্কে বেসরকারি খাতের প্রশিক্ষণের জন্য আরো চার কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই ব্যয়ের পরও এলাকায় প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।
কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে শ্বেতপত্র সবচেয়ে বড় পরিসংখ্যানগত অসংগতি চিহ্নিত করেছে। প্রকল্পের ডিপিপিতে যেখানে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা উল্লেখ ছিল না, সেখানে প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদনে হঠাৎ ২০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য যোগ করা হয়। অথচ বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প কাঠামো অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র দুই হাজার। অর্থাৎ, লক্ষ্য থেকে ১০ গুণেরও বেশি প্রশিক্ষণের দাবি করা হয়েছে, যার সঙ্গে অতিরিক্ত বাজেট ব্যয়ও যুক্ত ছিল।
রাজনৈতিক বিবেচনায় স্থান নির্বাচন
শ্বেতপত্রে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ভুল স্থানে অবকাঠামো নির্মাণের একাধিক উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। নাটোরের সিংড়ায় শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং জেলা হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে চলনবিল অঞ্চলের জলাশয় ভরাট করে—যেখানে ৪০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম নেই। পরিকল্পনা ইউনিট এই স্থানের বিরোধিতা করলেও তা উপেক্ষা করা হয়।
সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক ও শেখ কামাল আইটি সেন্টার নির্মাণ করা হয় হাওর অঞ্চলের জলাভূমি ভরাট করে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় স্থানটিকে খুবই দুর্বল সম্ভাবনাময় বলা হলেও সেই সতর্কতা ডিপিপি থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের বন্যায় পুরো এলাকা প্লাবিত হলে পার্কের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে পড়ে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয় এবং একাধিক বিনিয়োগকারী প্লট ছাড়ার আবেদন করেন।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রকল্প নিয়ন্ত্রণের ব্যক্তিকেন্দ্রিকরণ প্রসঙ্গে শ্বেতপত্রে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম বিশেষভাবে উঠে এসেছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রণোদনায় প্রকল্প সম্প্রসারণ, পৃষ্ঠপোষকতা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং নিয়োগ ও চুক্তি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনিক পর্যায়ে শফিক উদ্দিন ভূঁইয়া এবং পরে একেএম আমিরুল ইসলাম প্রকল্প বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।
প্রকিউরমেন্ট পর্যায়ে নুরুল ইসলাম নামের এক বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করে পছন্দের ঠিকাদারদের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযুক্ত একেএম আমিরুল ইসলাম এখনো হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বহালতবিয়তে আছেন।
দাতা চালিত প্রকল্পেও অনিয়ম-দুর্নীতি
শুধু সরকারি অর্থ নয়, দাতা সংস্থা চালিত প্রকল্পগুলোতেও একই ধরনের অপচয় ও ডুপ্লিকেশনের চিত্র দেখা গেছে। ইডিসি ও এসএসইসির মতো দাতা চালিত প্রকল্পে একই ধরনের অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণ উপাদান বারবার তৈরি করা হয়েছে। অথচ বহু ক্ষেত্রেই সেগুলোর বাস্তব ব্যবহার হয়নি বা আংশিক বাস্তবায়নের মধ্যেই প্রকল্প ‘সমাপ্ত’ দেখানো হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের প্রকল্পেও দুর্নীতির কাঠামো
নতুন প্রজন্মের কানেক্টেড বাংলাদেশ (সিবিডি) প্রকল্পকে আগের দুর্বলতা সংশোধনের উদ্দেশ্যে শুরু করা হলেও প্রকল্পটি পুরোনো কাঠামোগত নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। চরজাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মতো এলাকায় সংযোগ নিশ্চিত করতে ইনফো-সরকার-৩ প্রকল্পের বেসরকারি বিক্রেতা নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরতা সৃষ্টি হয়, যা প্রকিউরমেন্টের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সিবিডি প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চুক্তির জন্য নিষিদ্ধ সীমিত দরপত্র পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রকল্প পরিচালকের আপত্তির পর তা সংশোধন করে খোলা দরপত্র পদ্ধতিতে আনা হয়। প্রকল্প অনুমোদনে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের উদাহরণ হিসেবে শ্বেতপত্রে একটি অডিও রেকর্ডিংয়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
টাস্কফোর্সের হাতে পাওয়া ওই অডিওতে তৎকালীন এক মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কথোপকথন ধরা পড়ে, যেখানে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার চাপ প্রয়োগে একটি প্রকল্পকে লিমিটেড টেন্ডার মেথডে অনুমোদনের তাগিদ দেওয়া হয়। একই কথোপকথনে প্রকল্পটিকে ‘আইসিটি উপদেষ্টার মালিকানাধীন’ বলেও উল্লেখ করা হয়। শ্বেতপত্রের ভাষায়, এমন ঘটনা প্রকল্প অনুমোদনে নির্বাহী ও রাজনৈতিক প্রভাবের নগ্ন উদাহরণ।
আইডিয়া প্রকল্পের অনুদান রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে
নারীদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের এসএমই অনুদান বিতরণেও রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট ছিল। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের মতো রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ দিনে এসব অনুদান বিতরণ করা হয়। তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী সরাসরি নির্বাচন কমিটির ১৩ সদস্যের মধ্যে সাতজনকে নিজে নিয়োগের নির্দেশ দেন, যা প্রকল্পের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ, সফটওয়্যার লাইসেন্স ক্রয় এবং ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি-ভিত্তিক প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা হলেও দৃশ্যমান ফলাফল খুবই সীমিত। একাধিক প্রকল্পে একই ধরনের সফটওয়্যার লাইসেন্স বারবার কেনা হয়েছে, কখনো কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহার না করেই। কোথাও লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, অথচ তা কার্যকরভাবে কখনো চালু হয়নি।
রক্ষণাবেক্ষণের নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ লুটপাট
শ্বেতপত্রে আরেকটি বড় আর্থিক সমস্যা হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্নির্মাণের চক্র উঠে এসেছে। অনেক হাই-টেক পার্ক, ডেটা সেন্টার ও আইসিটি ভবনে নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই বড় অঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। কোথাও কোথাও একই ভবনে তিন থেকে চার বছরের ব্যবধানে পুনরায় রেট্রোফিটিং, সৌন্দর্যবর্ধন, ইন্টেরিয়র পরিবর্তন এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার পুনঃসংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে উন্নয়ন নয়, এটি ছিল শেখ পরিবারকে ঘিরে গড়ে তোলা একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতার কাঠামো। রাষ্ট্রের প্রকল্প, বাজেট, আইটি পার্ক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অ্যাপ–কনটেন্ট পর্যন্ত পরিবারের রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিংয়ের উপকরণে পরিণত হয়েছিল। ব্যর্থতা, অপচয় ও অকার্যকারিতা সত্ত্বেও কোনো দায় পরিবারের ঘাড়ে পড়েনি; বরং শেখ পরিবারের নামই হয়ে উঠেছিল জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থাকা একটি রাজনৈতিক ঢাল।
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আমার দেশকে বলেন, শ্বেতপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কমিটি শিগগির এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় করণীয় নির্ধারণ করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।


নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় বাড়ছে ৪০০ কোটি টাকা
দুই যুগেও পূর্ণতা পায়নি পায়রাবন্দের রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও টিকটকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার