সরদার আনিছ
হাজী সেলিম পরিবারের দখলবাণিজ্য থেকে রেহাই পায়নি বাক-প্রতিবন্ধী বধির সংস্থার স্কুলের জমিও। পুরান ঢাকার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লালবাগের কামালবাগ এলাকায় ঢাকা বধির হাই স্কুলের এক একর জমি দখল করে সেখানে মদিনা পেট্টোলিয়াম এলপিজি স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন লিমিটেডের স্থাপনা গড়ে ১৬ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন হাজী সেলিম।
বছরের পর বছর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেনদরবার করেও জায়গাটি ফিরে পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জায়গাটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পলাশ হোসাইন বলেন, সপ্তাহখানেক হলো আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছি, খুব শিগগিরই আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে যাব জায়গাটি ফিরিয়ে আনার দাবি নিয়ে।
জাতীয় বধির সংস্থার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিপ্লবের পরপরই আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমরা জায়গাটি বুঝে নিতে গিয়েছিলাম, তখন হাজী সেলিমের পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর তারা জায়গাটি ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
গত ১১ ডিসেম্বর সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিবন্ধী বধির সংস্থার স্কুলের জমির উপর বিশাল স্থাপনা পেট্রোল পাম্প ছাড়াও সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েকটি বিল্ডিং। সেগুলো জুতা, প্ল্যাস্টিক কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছে হাজী সেলিমের লোকজন।
পেট্রোল পাম্পের সামনেই বিশাল সাইন বোর্ডে লেখা আছে ‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ দেউলিয়াবিষয়ক আদালত- ঢাকা সিভিল রিভিশন নং-৪০৩/২০০৫ মূলে গুলশান আরা সেলিমের পক্ষে নিষেধাজ্ঞার আদেশ রহিয়াছে। পক্ষে মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও অ্যাডভোকেট শ্রী প্রাণনাথ।’
এলাকাবাসী ও বধির সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা বধির হাই স্কুলের সম্প্রসারণ ও বৃহৎ পরিসরে স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে ৫ লাখ টাকা মূল্যের বিনিময়ে বিগত ২০০৪ সালে ঢাকা জেলার লালবাগ থানাধীন লালবাগ মৌজার এস এস-১নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ২০৬৫ নং দাগের এক একর (আংশিক) জায়গা ঢাকা বধির হাই স্কুলের নামে বরাদ্দ দেয় তৎকালীন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার।
জমিটি হাজী সেলিম সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছেন অভিযোগ করে বধির সংস্থার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জমিটি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা দেওয়া হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল যে, এক মাসের মাথায় বধির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য এই জায়গাটি তিনি ছেড়ে দেবেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসককে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দেশের সুবিধাবঞ্চিত শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সাল থেকে সংস্থার প্রধান শিক্ষা প্রকল্প হিসেবে ঢাকা বধির স্কুল স্থাপিত হয়। স্কুলটি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
হাজী সেলিম পরিবারের দখলবাণিজ্য থেকে রেহাই পায়নি বাক-প্রতিবন্ধী বধির সংস্থার স্কুলের জমিও। পুরান ঢাকার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লালবাগের কামালবাগ এলাকায় ঢাকা বধির হাই স্কুলের এক একর জমি দখল করে সেখানে মদিনা পেট্টোলিয়াম এলপিজি স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন লিমিটেডের স্থাপনা গড়ে ১৬ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন হাজী সেলিম।
বছরের পর বছর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেনদরবার করেও জায়গাটি ফিরে পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জায়গাটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পলাশ হোসাইন বলেন, সপ্তাহখানেক হলো আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছি, খুব শিগগিরই আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে যাব জায়গাটি ফিরিয়ে আনার দাবি নিয়ে।
জাতীয় বধির সংস্থার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিপ্লবের পরপরই আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমরা জায়গাটি বুঝে নিতে গিয়েছিলাম, তখন হাজী সেলিমের পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর তারা জায়গাটি ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
গত ১১ ডিসেম্বর সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিবন্ধী বধির সংস্থার স্কুলের জমির উপর বিশাল স্থাপনা পেট্রোল পাম্প ছাড়াও সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েকটি বিল্ডিং। সেগুলো জুতা, প্ল্যাস্টিক কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছে হাজী সেলিমের লোকজন।
পেট্রোল পাম্পের সামনেই বিশাল সাইন বোর্ডে লেখা আছে ‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ দেউলিয়াবিষয়ক আদালত- ঢাকা সিভিল রিভিশন নং-৪০৩/২০০৫ মূলে গুলশান আরা সেলিমের পক্ষে নিষেধাজ্ঞার আদেশ রহিয়াছে। পক্ষে মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও অ্যাডভোকেট শ্রী প্রাণনাথ।’
এলাকাবাসী ও বধির সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা বধির হাই স্কুলের সম্প্রসারণ ও বৃহৎ পরিসরে স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে ৫ লাখ টাকা মূল্যের বিনিময়ে বিগত ২০০৪ সালে ঢাকা জেলার লালবাগ থানাধীন লালবাগ মৌজার এস এস-১নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ২০৬৫ নং দাগের এক একর (আংশিক) জায়গা ঢাকা বধির হাই স্কুলের নামে বরাদ্দ দেয় তৎকালীন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার।
জমিটি হাজী সেলিম সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছেন অভিযোগ করে বধির সংস্থার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জমিটি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা দেওয়া হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল যে, এক মাসের মাথায় বধির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য এই জায়গাটি তিনি ছেড়ে দেবেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসককে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দেশের সুবিধাবঞ্চিত শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সাল থেকে সংস্থার প্রধান শিক্ষা প্রকল্প হিসেবে ঢাকা বধির স্কুল স্থাপিত হয়। স্কুলটি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে