রাজধানীর কদমতলীতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার দাবি করেছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহবধূর নাম তামান্না আক্তার (১৯ )। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ তামান্নাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালাচ্ছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
গৃহবধূর বাবা নায়েব উল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন দিয়ে বলছে, আপনার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, আপনারা আসেন'। প্রথমে তাকে স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সাড়ে নয় টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো: ফারুক বলেন, মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
মৃতের বাবা নায়েব উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে তার স্বামী রতনসহ তার পরিবারের লোকজনেরা হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত তিন বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করে। ছেলে কিছুই করে না বেকার। কিছুদিন যাবার পর পর তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হতো। তারা আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন করতো। আমরা বিভিন্ন সময়ে ৮/১০ লাখ টাকা দিয়েছি। তাদের এক সন্তান রয়েছে। ওই সন্তানের দিকে তাকিয়ে, আমরা সব সহ্য করতাম।
তিনি বলেন, শুক্রবার মেয়েটির জন্মদিন। তাই গতকাল আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে গিয়ে বাজার করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নায়েব উল্লাহর মেয়ে। দুই মেয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। শ্বশুরবাড়ি কদমতলীর মেরাজনগর।

