নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই: শফিকুল আলম

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৪

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়ে আশঙ্কা কখনোই ছিল না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। প্রথম থেকে একই কথা বলে আসছি, নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারোর নেই।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেন, আমাদের কথার মধ্যে কোনো ব্যত্যয় দেখেছেন? কোনো উপদেষ্টা কি এমন কোনো কথা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে? তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই। যারা যত ষড়যন্ত্রই করুক নির্বাচন ঠিকমতো হবে এবং এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ইলেকশন হবে।

তিনি বলেন, আপনি যেমন চা স্টলে যান, আমিও যাই। আমি গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে একটানা ভিজিট করছি। আজকে মাগুরা যাচ্ছি, কালকে নোয়াখালী, পরশু দিন হালুয়াঘাট, পরদিন ময়মনসিংহ- এভাবে সব জায়গায় যাচ্ছি। আমি তো সব জায়গায় নির্বাচনের হাওয়া দেখছি এবং সবাই বড় বড় মিটিং করছেন। সম্প্রতি আমি মাগুরা গিয়েছিলাম। সেখানে রাস্তায় প্রায় ১০ মিনিট আটকে ছিলাম মিছিলের কারণে, এত বড় মিছিল ছিল।

শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখছি না। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেক বেটার। দু-একটি ঘটনা হয়েছে চট্টগ্রামে। আমরা দেখছি। পুলিশের তরফ থেকে যে আপডেট দেয়া হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি এখন আরও বেটার হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই। যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, আপনি খুঁজে দেখবেন তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। হয়তো তারা পূর্বাচলে প্লট পেয়েছেন অথবা তাদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিয়েছেন, অথবা তাদের সময়ে তারা খুব সুখে-শান্তিতে ছিলেন এবং বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের কোনো বিভ্রান্তি নেই। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।

বিএনপি ও জামায়াতের ফোনালাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আমরা এখনো তাদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য শুনিনি। তবে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ফোন করা হয়েছে, তবে এখনো আমরা বিষয়টি জানি না।

তবে যেহেতু ক্ষমতায় রাজনৈতিক দলগুলো থাকবে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে তারাই আবার ক্ষমতায় আসবে। আমরা আশা করি আগামী ১০০ বছর রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকুক। বাংলাদেশে আগে একটি রাজনৈতিক সমস্যা ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, সেটা থেকে উত্তরণ হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র একটি শক্ত ভিত্তি পাবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত