হাতি মারার ফাঁদ জব্দ, ২০টি ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

উপজেলা প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ০৫

কক্সবাজারের উখিয়ার দৌছড়ি ইউনিয়নের রফিকেটঘোনা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন্যহাতি হত্যা প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। এ সময় প্রায় ১ হাজার মিটার জি আই তার জব্দ করা হয়। বনভূমি দখল করে নির্মিত ২০টি ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত বনে অবৈধভাবে বসবাসকারীরা জি আই তার ব্যবহার করে বন্যপ্রাণী শিকারের জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ বসিয়েছিল। সেই সঙ্গে সরকারি বনভূমি দখল করে বসবাস করায় ২০টি বসতঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ হামজা বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি বন্যপ্রাণী ধ্বংসের ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। শনিবার অভিযানে জি আই তার জব্দ করা হয়েছে এবং এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনি বলেন, সংরক্ষিত বনভূমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে বন্যপ্রাণী হত্যা করার অপচেষ্টা একটি গুরুতর অপরাধ। আমরা আজকের অভিযানে প্রায় ১ হাজার মিটার জি আই তার জব্দ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। বন আইনের আওতায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মান্নান বলেন, বনের গাছপালা কেটে ঘর বানানো ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে হাতি হত্যার চেষ্টা বন আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। দখলদারদের আমরা চিহ্নিত করছি। পর্যায়ক্রমে আরো অভিযান পরিচালনা করা হবে। বনকে রক্ষা করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।

উখিয়া উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম কাইজার নূর বলেন, সরকারি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার অনুমতি নেই। আমি যোগদানের আগে কিছু সংযোগ দেয়া হয়েছিল। তবে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। আজকের অভিযানে বনভূমিতে দেয়া ২০টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এদিকে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন্যহাতি হত্যা ও চোরাই বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বনের ক্ষতি করার ঘটনা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এসব অপরাধ দমন সম্ভব হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় ৪টি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দৌছড়ি এলাকায় দুটি হাতির মৃত্যু হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত