জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের কিছু রাজনৈতিক দলের ‘জমিদারি ভাব’ খানিকটা কমেছে। কিন্তু তারা এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। অতীতে যারা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তারা এখন আবার চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বালু-পাথর খাওয়ার মতো অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতা গেলে এদের হাতে দেশের মাটিও রক্ষা পাবে না।
শুক্রবার বিকালে পাবনার ঈশ্বরদীর খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনালে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল বলেন, গত বছরের আগস্টের পরে ওই দলগুলোর আচরণে মনে হয়েছিল যে, তারা যেন দেশের একচ্ছত্র মালিক। কিন্তু জনগণ চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই তাদের পতন শুরু হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসের পথ পরিত্যাগ করে ভালো পথে আসুন। জনগণের মনের ভাষা বুঝার চেষ্টা করুন। প্রার্থীদের বহরে হামলা, নারীদের পবিত্র কোরআনের কর্মসূচিতে হামলা—এসব বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামী ছাত্রশিবির ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। জনগণ মনে করে, নীরব ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এবার দাঁড়িপাল্লাও বিজয়ী হবে।
ক্ষমতায় গেলে ‘রাজা নয়, জনগণের সেবক’ হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, দেশে নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তুলে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। নারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে দেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাঁচ বছরের মধ্যে উঁচু করা হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কোনোভাবেই বিলম্ব করা চলবে না। গণভোটও যথাসময়ে হতে হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে—তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দেওয়া উচিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘প্রহসনের বিচারে আমাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু আমরা দমে যাইনি—জামায়াত কাউকে ভয় করে না, আল্লাহ ছাড়া।’
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির ড. নুরুজ্জামান প্রামানিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসভায় আরো বক্তব্য দেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

