
জসীম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার ৫০ কোটি টাকার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি। এতে লাখো মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারের উদাসীনতা ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে এখনো চালু হয়নি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাবে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সারাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন উন্নয়নে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। এর মধ্যে জগন্নাথপুর পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল পৌরসভা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পে ছিল একটি গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওভারহেড ট্যাংক, ২৬ কিলোমিটার পাইপলাইন, ৯৫টি গভীর নলকূপ, ৮ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৬টি পাবলিক টয়লেট, ৩৬টি ডাস্টবিন ও একটি পানি সরবরাহ অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা। কিন্তু বাস্তবে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এখন পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন ও ৪০০ হাউস কানেকশন সম্পন্ন হয়েছে। ১১ হাজার কেভিতে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের প্রস্তুতি শেষ হলেও এখনো সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফোর-ফিফটি লাইনের জন্য আলাদা ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজও ঝুলে আছে। ফলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হলেও চালু করা যাচ্ছে না।
হবিবপুর ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, পৌরসভা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রচেষ্টায় এই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপিত হয়। কাজও একসময় জোরেশোরো চলছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার হঠাৎ উধাও হয়ে গেলে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৮-১০ মাস ধরে কার্যালয়ে তালা ঝুলছে, কর্মীরা চলে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে বন্ধ প্লান্ট, নিচে নামছে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর। প্রকল্প এলাকার মূল সমস্যা এখন বিদ্যুৎ সংযোগ। এদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছেন পৌরবাসী।
হবিবপুর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফিনা বেগম বলেন, আমাদের গ্রামে নলকূপে পানি আসে না। অনেক দূর থেকে কলসি নিয়ে পানি আনতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চা আর বৃদ্ধরা কষ্ট পায় সবচেয়ে বেশি। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানির হাহাকার থেকে মুক্তি পেতো পৌরবাসী।
ইকরছড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল আলম বলেন, বিশুদ্ধ পানি না পাওয়ায় মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কাজ বন্ধ আছে বহুদিন। আমরা চাই দ্রুত এই প্রকল্প চালু হোক।
শহরের ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভায় এই মৌসুমে মাটির নিচ থেকে পানির স্তর সরে যাওয়ায় শত শত টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। পানি সরবরাহের প্রকল্পটি চালু হলেই এ সংকট কেটে যেত। প্রায় দুই বছর আগে প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রকল্পটির কাজটি দুটি প্যাকেজে হয়েছে৷ একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট অন্যটি পাইপলাইন। ওয়াটার ট্রিটমেন্টের কাজ শেষ পর্যায়ে শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ বাকি। আর পাইপলাইনের কাজ চলছে। আমরা আশাবাদী আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পানি সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হবে৷
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক বরকত উল্লাহ বলেন, কাজ চলমান আছে । দ্রুত শেষ করার জন্য আমরা তাগিদ দিয়েছি।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার ৫০ কোটি টাকার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি। এতে লাখো মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারের উদাসীনতা ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে এখনো চালু হয়নি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাবে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সারাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন উন্নয়নে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। এর মধ্যে জগন্নাথপুর পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল পৌরসভা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পে ছিল একটি গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওভারহেড ট্যাংক, ২৬ কিলোমিটার পাইপলাইন, ৯৫টি গভীর নলকূপ, ৮ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৬টি পাবলিক টয়লেট, ৩৬টি ডাস্টবিন ও একটি পানি সরবরাহ অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা। কিন্তু বাস্তবে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এখন পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন ও ৪০০ হাউস কানেকশন সম্পন্ন হয়েছে। ১১ হাজার কেভিতে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের প্রস্তুতি শেষ হলেও এখনো সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফোর-ফিফটি লাইনের জন্য আলাদা ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজও ঝুলে আছে। ফলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হলেও চালু করা যাচ্ছে না।
হবিবপুর ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, পৌরসভা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রচেষ্টায় এই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপিত হয়। কাজও একসময় জোরেশোরো চলছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার হঠাৎ উধাও হয়ে গেলে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৮-১০ মাস ধরে কার্যালয়ে তালা ঝুলছে, কর্মীরা চলে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে বন্ধ প্লান্ট, নিচে নামছে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর। প্রকল্প এলাকার মূল সমস্যা এখন বিদ্যুৎ সংযোগ। এদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছেন পৌরবাসী।
হবিবপুর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফিনা বেগম বলেন, আমাদের গ্রামে নলকূপে পানি আসে না। অনেক দূর থেকে কলসি নিয়ে পানি আনতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চা আর বৃদ্ধরা কষ্ট পায় সবচেয়ে বেশি। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানির হাহাকার থেকে মুক্তি পেতো পৌরবাসী।
ইকরছড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল আলম বলেন, বিশুদ্ধ পানি না পাওয়ায় মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কাজ বন্ধ আছে বহুদিন। আমরা চাই দ্রুত এই প্রকল্প চালু হোক।
শহরের ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভায় এই মৌসুমে মাটির নিচ থেকে পানির স্তর সরে যাওয়ায় শত শত টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। পানি সরবরাহের প্রকল্পটি চালু হলেই এ সংকট কেটে যেত। প্রায় দুই বছর আগে প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রকল্পটির কাজটি দুটি প্যাকেজে হয়েছে৷ একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট অন্যটি পাইপলাইন। ওয়াটার ট্রিটমেন্টের কাজ শেষ পর্যায়ে শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ বাকি। আর পাইপলাইনের কাজ চলছে। আমরা আশাবাদী আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পানি সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হবে৷
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক বরকত উল্লাহ বলেন, কাজ চলমান আছে । দ্রুত শেষ করার জন্য আমরা তাগিদ দিয়েছি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদের দেশের জন্য এক অনন্য নিদর্শন। তার ত্যাগ ও নেতৃত্ব দেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় চেতনার প্রতীক। আমি তার সমাধিতে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছি, যেন আমাদের দেশ শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা–আখাউড়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুশফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন সামনে, এক হয়ে থাকতে হবে। দলের কয়েকজন বিপথে গেছে তাদেরও আমি স্বাগত জানাই। তারা আমাদের ভাই। আগামী নির্বাচন জটিল ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩৬ মিনিট আগে
শনিবার ভোর ৬টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সড়ক ও জনপদ এর সামনে এ ঘটনা ঘটে।পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। ততক্ষণে বাসের সিটগুলো পুড়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
একটা দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা ফায়দা নিতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। আরেকটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে এদের দ্বারা দেশের পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা স
২ ঘণ্টা আগে